# ব্যবস্থা নেয়া হবে : সদর ওসি কামরুল ও এএসপি সুবাস সাহা
সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
শহরের নতুন জিমখানা এলাকায় চলছে জুয়ার বোর্ড। দিন-রাত ২৪ ঘন্টাই জুয়ার আসর চলে এখানে। প্রতিদিন লক্ষ টাকার জুয়ার হচ্ছে এই আসরে। গত ১২ ফেব্রুয়ারী শহরের ৫ নং ঘাট, কালিরবাজার, সাইনর্বোড এলাকায় বিভিন্ন জুয়ার আসর থেকে ৪০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকার অধিক উদ্ধার করা হয়। এ সকল এলাকা গুলোতে জুয়ার বন্ধ হলেও নতুন করে জুয়ার আসর বসানো হয়েছে নতুন জিমখানায়। বিভিন্ন এলাকার জুয়ারিরা আসছে এই আসরে।
জিমখানা এলাকার প্রভাব বিস্তারকারী বাচ্চু মিয়ার ছেলে অপু এই জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রন করছে। জুয়ার আসর বসানো ঘরটি পূর্বে ছিল গরুর খামার। সেই খামার ভেঙ্গে কাঠের দোতলায় রমরমা জুয়া চালাচ্ছে অপু। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছে কাইল্লা খোরশেদ, মিজান, রনি, শাকিল। সূত্রে মতে, নিচে বসে ছোট আসর। এখানে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার জুয়া হয়। উপরে আসরে ৫ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা। পুরনো জুয়ারিরা নিয়ে আসে নতুন জুয়ারি। বন্ধ হওয়া ৫নং ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানের জুয়ারিরা আসে এ আসরে। আসরের চার পাশে রাখা হয়েছে পাহারাদার। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আগমনের সাথে সাথে খবর পেয়ে পালিয়ে যায় জুয়ারিরা।
এলাকাবাসী আরো জানায়, নতুন জিমখানায় মাদক ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি এখন জুয়ার বোর্ড বসানো হয়েছে। এই বোর্ডে বেলা ১১ টার থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জুয়া চলে। এলাকাবাসী ভয়ে কিছু বলতে পারেনা। যদি কেউ প্রতিবাদ করে অপু বাহিনী হামলা করে মারধর করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্জাচ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, এই জুয়ার আসরের বিষয়ে জানা ছিল না। সত্যতা যাচাই করে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহা দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানায়, এটা আমাদের নজরে ছিল না। পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। জেলার কোথাও কোন জুয়ার আসর থাকতে পারবে না।