আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেশ ছাড়লেন নিজাম

স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত সাবেক এমপি শামীম ওসমানের চেলা চামুন্ডারা কে কোথায় আছেন তা জানার জন্য নগরবাসীর উৎসাহের কমতি নেই। ইতোমধ্যে খবর বেরিয়ে ছিলো শামীম ওসমানকে সিলেটের একটি ফাইভস্টার হোটেলে দেখা গেছে। পরে সেটি গুজব বলে জানা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে তাকে এই জিজ্ঞাসাবাদের পূর্বে মারধর করার বিষয়টি স্পষ্ট বুঝা যায়। এসব খবর জানতে নগরবাসীকে ব্যাপক উৎসাহিত দেখা গেছে। এবার জানা গেলো শামীম ওসমানের প্রধান সেনাপতি মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের অবস্থান।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আত্নগোপনে দলটির মন্ত্রী এমপি সহ জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সেই মোতাবাকে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রভাব খাটানো এমপি শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। কোথায় রয়েছে শামীম ওসমান সহ তার সহযোগীরা। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে সাধারণ মানুষের কৌতুহল ও প্রশ্নের অভাব নেই। তবে শাহ নিজাম বর্তমানে সুদূর দুবাইয়ের আজমান শহরে অবস্থান করছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিশ^স্ত একটি সূত্রে খবর পাওয়া গেছে গত ৫ দিন পূর্বে দুবাই গিয়ে পৌছেন এক সময়ে নারায়ণগঞ্জে দাপট দেখিয়ে বেড়ানো এই নেতা। সেখানে শুধু শাহ নিজামই নয় দেখা গেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল কেও। তবে আজমান শহরে অবস্থান করা শাহ নিজামের কোন ছবি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, শাহ নিজাম ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের প্রধান সেনাপতি। নারায়ণগঞ্জের জমি ব্যবসার থেকে শুরু করে অনেক সেক্টরেই ছিলো তাঁর একক নিয়ন্ত্রন। তার মালিকানাধীন নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্ক থেকে শামীম ওসমানের সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছিলো বিগত কয়েক বছর ধরে। যেখানে যাতায়াত ছিলো ওসমান পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমানেরও। গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় বিক্ষুদ্ধ আন্দোলনকারীরা শাহ নিজামের মালিকানাধীন নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর শেষে অগ্নি সংযোগ করে। ওই সময় আন্দোলনকারীদের উপর গুলি বর্ষন করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। অগ্নি সংযোগের পর সেখানে সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও তাঁর ছেলে অয়ন ওসমান অনুসারীদের নিয়ে গুলিবর্ষন করেছে বলেও অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।