সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সিনিয়র নায়েবে আমীর (শায়েখে চরমোনাই) মুফতী সৈয়দ মুহাঃ ফয়জুল করীম বলেছেন, দেশের রন্দ্রে রন্দ্রে নাস্তিকেরা ঢুকে গেছে। নবম-দশম শ্রেনীর বইয়ের মধ্যে বিবর্তনবাদের থিউরি-থিম দেওয়া হয়েছে। যেটা পড়ার পর একটা মুসলমান সন্তান ভাববে যে সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নাই। আমরা বানর থেকে মানুষ হয়েছি। তাই নিজেকে নিয়ে চিন্তা করলে হবে না। দেশকে মেরামত করার চিন্তা আপনাকে-আমাকেই করতে হবে।
রোববার (৫ জানুয়ারী) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেটের পাশের মাঠ সংলগ্ন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত নগর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ঢাকাকে মসজিদের শহর বলা হয়। অথচ সেই ঢাকা শহরের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। দূষণ, দুর্নীতি, যানজট, মাদক ও ক্যাসিনো নগরীতে পরিণত হয়েছে মসজিদের নগরী এই ঢাকা। অতীতে যারাই ক্ষমতায় ছিলো তারাই সন্ত্রাস, দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। শাসকগোষ্ঠী নগরবাসীর সমস্যা লাঘবে ব্যর্থ হয়েছেন বার বার। সুতরাং দুর্নীতিমুক্ত ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় ইসলামী অনুশাসনের বিকল্প নেই।
প্রধান অথিথির বক্তব্য শেষে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই)। এতে এম. শফিকুল ইসলামকে সভাপতি, মুহাম্মদ আব্দুর রশীদকে সহ-সভাপতি এবং মুহাম্মদ মাহাদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি মুহাঃ ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি মুফতি মুহাঃ মাসুম বিল্লাহ।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এম শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমাদ কবির, প্রশিক্ষণ সম্পাদক এইচ এম মিরাজুল ইসলাম, প্রচার ও প্রাকাশনা সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমাদ, অর্থ সম্পাদক ওমর ফারুক, দফতর সম্পাদক এইচ এম শাহীন আদনান, কওমী মাদ্রাসা সম্পাদক শেখ মুহাঃ ইকবাল হোসাইন, আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক যোবায়ের আহমাদ, কলেজ সম্পাদক মুহাঃ আশরাফ হোসাইন, স্কুল সম্পাদক মুহাঃ সোহেল হোসাইন, ছাত্রকল্যাণ মুহাঃ শরিফ হোসাইন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুহাঃ জাহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য শাখার নেতৃবৃন্দ।