নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লায় দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। গতকাল বিকেলে ফতুল্লার রেললাইন বটতলা থেকে শুরু করে কাঠেরপুল এলাকা পর্যন্ত মূল সড়কটি হামলা-পাল্টা হামলায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
জানা গেছে, সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি মিছিলে হামলা চালিয়ে যুবলীগের স্বশস্ত্র ক্যাডাররা। ফতুল্লা ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর উদ্যোগে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে গেলে সেখানে হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। এতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে শাহ নিজামের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন হাজীর পুত্র আক্তার, সুমন ও তার মেয়ে জামাতা পঞ্চবটীর আলোচিত যুবলীগ ক্যাডার ওলা মাসুদের ক্যাডার বাহিনী। প্রতিরোধে পাল্টা হামলা এবং ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতাল, ফতুল্লা জেনারেল হাসতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিনের অবস্থা গুরুতর।
বুধবার দুপুরে সন্ত্রাস বিরোধী একটি শান্তি মিছিল রেললাইন বটতলা অতিক্রম করার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রায় দু’ঘন্টাব্যাপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ থাকে দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। আশেপাশে শিল্প কারখানার শ্রমিকসহ বসতবাড়ীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফতুল্লা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর উদ্যেগে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল শুরু পূর্বে দুপুর ২টা থেকে রেল লাইন বটতলায় ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জমায়েত হতে থাকে লোকজন। তিনটার দিকে মিছিলটি রেল লাইন বটতলা হয়ে কোতালের বাগ কবরস্থান পাড় হওয়ার সময় গডফাদার শামীম ওসমানের সাথে আতাত করে চলা আলাউদ্দিন হাজীর দুই পুত্র শাহ নিজাম ও নিপুর অন্যতম ক্যাডার আক্তার, সুমন ও মেয়ের জামাতা ওলা মাসুদের নেতৃত্বে তাদের সহোযোগিরা মিছিলে হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানায়, গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে করে বিক্ষোভ মিছিল ছত্র ভঙ্গ হয়ে যায়। পরে তারা একত্রিত হয়ে পাল্টা হামলা চালালে পোস্ট অফিস রোড রেলাইন বটতলা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) সোলেয়মান মাহমুদ জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত দুটি গ্রুপকে ধাওয়া করা হলে তারা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পরে। সংঘর্ষে ২০ জনের ওপরে আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, আলাউদ্দিন হাজীর দুই পুত্র আধুনিক, ভারী অস্ত্র নিয়ে এর আগে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিলেন। এছাড়া আধুনিক অস্ত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। এরআগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্ত্রের ছবি দিয়ে ভাইল হয় আক্তার। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তদন্ত করেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
