আজ সোমবার, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রার্থীতার দীবা সপ্নে মগ্ন জয়নাল খোকা বললেন সম্ভবনা নাই

দীবা সপ্নে মগ্ন জয়নাল

দীবা সপ্নে মগ্ন জয়নাল

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমান নির্ধারিত। আল-জয়নালের মনোনয়ন পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানায় দলের শীর্ষ নেতারা। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছেন মাত্র কয়েকদিন হলো। কোন যোগ্যতায় তাকে দল মনোনয়ন দিবে। আমরা বছরের পর বছর রাজনীতি করে এই পর্যায়ে এসেছি। সাংসদ সেলিম ওসমান উন্নয়ন করে সফল। আগামী নির্বাচনে দল সেলিম ওসমানকেই মনোনয়ন দিবে।
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ও সমলোচিত ব্যাক্তি আল-জয়নাল। নাশকতা মামলার অন্যতম আসামী হিসাবে পরিচিত মোঃ জয়নাল আবেদীন ওরফে আল জয়নাল এবার মামলা থেকে বাঁচতে ও ভূমিদস্যূতার বদনাম গুচাতে জাতীয়পার্টিতে যোগ দিলেন। পল্টি মেরে একাধীকবার দল পাল্টানো জয়নাল সদ্য যোগ দিয়েছে জাতীয় পার্টিতে। জয়নালের বিরুদ্ধে এর আগে জামায়াত ও তাঁতী লীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়ার অভিযোগ আছে। তবে বর্তমানে জাতীয় পার্টিতে সূযোগ পাওয়ার পর তিনি অতিতকে অস্বীকার করছেন। এখন তার খায়েশ নির্বাচন করে এমপি হওয়ার। তার একমাত্র জোর একজন পীর বাবা।
১২ জুন মঙ্গলবার জয়নাল আবেদীন চুপিসারেই তার বাসভবনে গুটিকয় মিডিয়া কর্মীদের ডেকে অনেকটা গোপনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
তার নিজস্ব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয়পার্টিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করে বলেন, ইতিমধ্যে তিনি জাতীয়পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ লাভ করেছেন। এরপর শহরজুড়ে প্রায় লক্ষাধীক পোস্টার ছাপিয়ে নিজেকে জানান দিতে চেষ্টা করেন।
তখন তিনি তার বিরুদ্ধে জামাত-শিবিরকে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কখনো জামাত কিংবা তাঁতীলীগ করিনি। নারায়ণগঞ্জ-৫ সদর-বন্দর আসনে নির্বাচন করার খায়েশ ব্যক্ত করে বলেন, দল আমাকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দিলে অবশ্যই আমি নির্বাচন করব। বাস্তবে দলের কোন নেতা কর্মী না থাকলেও মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের জাতীয়পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের অধিকাংশ নেতা-কর্মী আমার সংগে রয়েছে বলে দাবী করেন। বিগত সময় তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়ের করা প্রথম সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলা ও তার বিরুদ্ধে জামাত-শিবিরকে পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগের পর সদর থানায় তদন্ত হয়। বহুল আলোচিত জয়নালের বিরুদ্ধে আছে ভূমিদস্যূতারও একাধিক অভিযোগ। বিতর্কিত এই জয়নাল এবার জাতীয়পার্টিতে যোগ দেয়ার পর নগরবাসী মনে করছে জয়নাল আবেদীনের অতীত কর্মকান্ড ঢাকতেই ক্ষমতাসীন দলের সহযোগি হিসাবে পরিচিত মহাজোটের প্রধান শরীকদল জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছে। ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে প্রথমবারের মত মামলা হয়েছিল। মামলায় জয়নালসহ ১১ জনকে আসামী করা হয়। সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ২০০৯ এর ৬(২)/১০/১৩ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। ঐ মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংঘঠন, গোপন ষড়যন্ত্র, অপরাধ সংঘঠনের, পরস্পর সহযোগিতা ও প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
সবশেষ নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনেও জয়নালের ছিল ভিন্ন আচরণ। ভোটের আগে আওয়ামীলীগের এমপি শামীম ওসমান যখন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জুয়েল-মোহসীন পরিষদকে জয়ী করার ঘোষনা দেন তখন আল জয়নাল এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পরিষদকে পরাজিত করার ষড়যন্ত্রে নেমেছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন আইনজীবীদের মধ্যে থেকে। এসকল বিষয়ে ব্যাবসয়ী আল-জয়নাল তার বক্তব্যে বলেন। নির্বাচন অবশ্যই করবো যদি পার্টির চেয়ারম্যান আমাকে মনোনয়ন দেন। এবং আমি আশাবাদী। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা আমার সাথে আছে। প্রতিদিনই আমার অফিসে কর্যক্রম চলছে। এখনও আমার অফিসে সিদ্ধরগঞ্জের ৩০-৪০ কর্মী বসা। পূর্বের ন্যায় জামায়াত ও তাতীলীগের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ