আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দিনে যতটাই নিরাপদ রাতে ততটাই ভয়ংকর!

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের অ্যাকশনে ক্রমশই পরিবর্তন হচ্ছে পুরো নগরী। তার হস্তক্ষেপে পুরো শহরের চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে। এসপির কারণেই মাদক, সন্ত্রাস, চাদাঁবাজ, ভূমিদস্যু, হকার উচ্ছেদ ও আইন শৃঙ্খলার উন্নতি সর্বোপরি সব মহলেই শান্তি ফিরে এসেছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাড়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে দিনে যতটাই নিরাপদ শহরের মূল কেন্দ্র রাতে ততটাই ভয়ংকর। সকাল থেকে চাষাড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা অংশ তথা ট্রাফিকদের তৎপরতা থাকলেও রাতে ট্রাফিক বক্স থাকে বন্ধ! যার ফলে বেপোরোয়া গাড়ি চালকরা পেয়ে যায় সুযোগ, আর শুরু হয় খামখেয়ালীপনা। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের যতটা প্রশংসা করেন নগরবাসী, ততটাই অভিযোগ বেপরোয়া গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে। আর তাই এসপি হারুন অর রশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মধ্যরাতে শহরে কর্মরত সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে মধ্যরাতে নগরীর প্রাণকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ক্রাউন সিমেন্ট, শাহ সিমেন্ট সহ বিভিন্ন কোম্পানির ডিস্ট্রিক গাড়িগুলোর চালকরা ভয়ংকর রূপ নেয়। তাদের বেপরোয়া কর্মকান্ডে যেকোন সময় প্রাণহানী হতে পারে।
নগরবাসী জানায়, রাত ১১ টার পরপরই দেখা মেলে না ট্রাফিক পুলিশের। ট্রাফিক পুলিশ সড়কে থাকতেই চালকদের আচরণে অতিষ্ট নগরীর সাধারণ মানুষ, আর এর মধ্যে তারা না থাকলে চালকরা আরও সুযোগ পেয়ে যায়। তারা তাদের ইচ্ছে খুশী অনুযায়ী গাড়ি চালায়। যেনো রাস্তা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি।

গভীর রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরা একাধিক মানুষ জানায়, গত ১৫ জুন মধ্যরাতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে আসা একটি ক্রাউন সিমেন্ট কোম্পনির গাড়ি, গোলচত্ত্বর না ঘুরে সরাসরি পঞ্চবটি রাস্তার দিকে ঢুকিয়ে দেয়। এদিকে, আল-জয়নাল ট্রেড সেন্টারের সামনে অবস্থানরত কিছু ইজিবাইকের চালকরা বড় গাড়িটি ঘুরানোর গতিবেগ থেকে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। একটুর জন্য তারা প্রাণে বেচেঁ যায়। কারণ ইজিবাইকের গাঁ-ঘেষে বড় গাড়িটি ঘুরানো হয়। মহিলা কলেজের সামনে যেতে না যেতেই এ ঘটনায় ভয় পেয়ে যাওয়া ইজিবাইক চালকরা দৌড়ে গাড়িটিকে আটকে দেয়। তারপর গাড়িচালককে মারধর করে তারা টাকা দাবি করে।

নগরবাসী এসপির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বর্তমান পুলিশ সুপারের কর্মকান্ডে পুরো নারায়ণগঞ্জের মানুষ খুশি। আর তাই মধ্যরাতে নগরীর মূল পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের সেবা প্রয়োজন। ট্রাফিকদের লোকবল বাড়িয়ে এসপি হারুন চাইলেই পারে। কেননা তিনি অনেক বড় বড় সমস্যা সমাধান করেছেন তার কাছে এ সকল সমস্যা সমাধান কোন বিষয় নয়। আর তাই নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাড়ায় খুব শীঘ্রই ট্রাফিক ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য এসপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।