নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ: গত দু’দিন ধরে নিম্ম চাপের কারণে থেমে থেমে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে সাথে বাড়তে শুরু করছে শীতের তীব্রতা। বৃহস্পতিবার সারাটা দিন এভাবেই কেটে গেছে। এদিন সূর্যের দেখা পায়নি নগরবাসী।
আবহাওয়ার এই বিরূপ আচরণে কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে নগরবাসীদের। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছে বিপাকে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে রাস্তা-ঘাটের কাদা পেরিয়ে পরীক্ষার হলে হাজির হয়েছেন জেএসসি পরীক্ষার্থীরা। নগরীর বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে কমেছে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা। পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসতে পারছেন না বাহিরের দোকানিরা।
বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সহায়সম্বলহীন মানুষগুলোর। বাসার ভিতরে অলস সময় পার করছেন তারা। এছাড়াও রয়েছে শীত জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা। তবে শীতের তীব্রতা বাড়ার ফলে নগরীর ফুটপাথে কাপড়ের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্র বিক্রি তুলনামূলক বেড়েছে। শীতকে উপেক্ষা করে জীবীকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষরা ছুটে এসেছেন তাদের কর্মস্থানে। কালীবাজার থেকে চাষাড়া আসার পথে কথা হয় রিক্সা চালক ইদ্রীস আলীর সাথে। তিনি বলেন, প্রতিদিন রিক্সা চালিয়ে যে টাকা আয় হয় তা দিয়েই সংসারের খরচ চালাতে হয়। একদিন রিক্সা না চালালে তাদের মুখে ভাত তুলে দেয়া সম্ভব হয় না। তাই বৃষ্টি ও শীত উপেক্ষা করেই বাসা থেকে বের হয়েছি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছেন, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান যতই কমবে শীত শীত ভাব তত বেশি অনুভূত হবে। তখন দিনের ও রাতের তাপমাত্রা দুটোই কমে আসবে।
অনেকে বলছেন চলতি মাসের শেষ দিকে এবার দেখা দেবে শীত। তবে কেউ কেউ বলছেন বৃষ্টির কারণেই তাপমাত্রা কমে শীত অনুভূত হচ্ছে। নিম্নচাপ কমে গেলে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। আসলেই এবার প্রকৃতির খেয়ালে কতটুকু পরিবর্তন আসবে তা সময়ই বলে দিবে।