আজ শুক্রবার, ২২শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দাপা ইদ্রাকপুর ড্রেনের ময়লা পানিতে দুর্ভোগ চরমে

মনি ইসলাম : বিভিন্ন শিল্প কারখানা ও বাসাবাড়ির ড্রেনের ময়লা পানি দাপা ইদ্রাকপুর সড়কে জমে থাকায় দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সেখানে পাশাপাশি রয়েছে দুটি বিদ্যালয়। একটি পাইমারি স্কুল অন্যটি উচ্চ বিদ্যালয় । প্রাইমারি বিদ্যালয়টি হলো সেহাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আর উচ্চ বিদ্যালটি হলো ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় । এই বিদ্যালয় দুটির পাশ্বরাস্তায় প্রায় ১বছর ধরে ড্রেনের উপচে পড়া নোংরা পানি জমে থাকে। তাতে দুর্গন্ধে এলাকার বিভিন্ন দোকানদারদের দোকানে বসে বেচা-কেনা করা ও ছাত্র-ছাত্রীদের চলা ফেরা করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

৭ জুলাই বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়,মেইন রাস্তার পার্শ্বে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ড্রেনের থাকা বালু,ময়লার কারণে বাজার এলাকার একাংশ বসতবাড়ির ময়লা জল মলমূত্রসহ ওই ড্রেনে পড়ে নিষ্কাশন হতে পারে না। ওই এলাকায় ড্রেনের ঢাকনা না থাকায় রাস্তা তলিয়ে যাচ্ছে।তাতে দিন দিন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। এসব নোংরা পানি বের হওয়া অব্যাহত থাকলেও যেন দেখার মত কেউ নেই। এরই মধ্য দিয়ে অতি কষ্টে ওই এলাকার বিভিন্ন কোমল মতি শিক্ষার্থীরা চলাচল ও দোকানদার বেচা কেনা করছে। সারা পথ ভালোভাবে আসলেও উক্ত স্থানে এসে নোংরা পানিতে পা ভিজিয়ে নাকে মুখে কাপড় পেঁচিয়ে রাস্তাটুকু পার হচ্ছেন। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চায় ঐ এলাকার মানুষ।
এব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা সালিকুর রহমান সংবাদচর্চাকে বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা তলিয়ে যায়। ড্রেনে ৩ফুট মাটি জমে আছে। ড্রেনটি পরিস্কার না করায় পানি জমে থাকে। আমাদের এলাকায় যিনি চেয়াম্যান ছিল তিনি মারা গেছেন এখন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে স্বপন চেয়ারম্যান আমাদের এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ গুলো করে থাকে। কিন্তু এখন আমরা যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি তা কেউ দেখে না এমনকি খোঁজও নেন না।
অন্যদিকে ছালাম বলেন,এ রাস্তায় পানি জমার বেশ কারন রয়েছে । প্রথমত ড্রেন পরিস্কার করা হয় না। ৪/৫ টি শিল্প কারখানা থেকে দূর্ষিত নোংরা পানি এসে ভরে যায়। এমনকি বাসাবাড়ি থেকে যে ময়লা হয় তাও ড্রেনে ফেলে। কারন ময়লা গাড়ি ময়লা নিতে আসে না । আমাদের কষ্টের চেয়ে আমাদের বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে। বেশি বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই এসব ড্রেনের ময়লার পানি বাসা বাড়িতে ঢুকে যায় । এখন যে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি তাতেই অনেকের বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে।

স্বপন চেয়ারম্যান সংবাদচর্চাকে বলেন, মানুষ তো অনেক কিছুই বলে। আমি গত ২ মাস আগেও ১৪ হাজার টাকা দিয়ে ড্রেন পরিস্কার করিয়েছি । মানুষ তো অসচেতন তাই ড্রেনের উপর ময়লা আর্বজনা ফেলে ভরে রাখে । আসলে আমি জানতাম না যে ,ঐ এলাকায় ময়লার গাড়ি বাসা বাড়ি থেকে ময়লা নেয় না । আমি ময়লা গাড়িকে বলে দিব যাতে বাসা বাড়ি থেকে ময়লা নিয়ে যায়।