আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তিন শীর্ষ জঙ্গি আটক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর ৩ (তিন) জন এজাহারনামীয় পলাতক শীর্ষ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মিরপুর থানার মধ্য পীরের বাগ এলাকার মৃত আঃমতিনের ছেলে মোঃ সানোয়ার আলম @ সানোয়ার @ সানাউর রহমান @ পল্লব @ নূর আলম জনি (৩৬), মিরপুর থানার মৃত আঃ রহমানের ছেলে মোঃ শাহ আলম আব্দুল্লাহ @ আব্দুল্লাহ @ একরামা (৪৩),পল্লবী থানার মোঃ নুরুল হকের ছেলে মোঃ এনামুল হক @ নোবেল @ সুমাব @ লিটন বি (৩৮)। মঙ্গলবার ( ২৯ সেপ্টেম্বর) র‌্যাব -২ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় উগ্রবাদী বই -০৭(সাত) টি , লিফলেট – ০৩ (তিন) টি, পুস্তিকা – ০৫ (পাঁচ) টি, ব্যাগ – ০৩ (তিন) টি, মোবাইল – ০৪ (চার)টি নগদ টাকা – ৭,৩২৭/- টাকা জব্দ করা হয়। বুধবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর) র‌্যাব -২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

তিনি জানান, গত ১০/০৯/২০২০ তারিখে আনসার আল ইসলামের ০৪ জন ক। অমিত হোসাইন@আবুল কালাম@সাগর@অ্যাকশন ওয়ার (৩৮), খ। আল আমিন@ তারিক(৩২), গ। শিহাব উদ্দিন (২১)এবং ঘ। মানিকুজ্জামান@মানিক@রতন@সাইকেল ম্যান (৩২) ও ১৬/০৯/২০২০ তারিখে ০১ জন আবু সায়েম@সিফাত (২৬) নামে শীর্ষ জঙ্গ সদস্য র‌্যাব-২ কর্তৃক ধৃত হয়। তাদের বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। পরবর্তীতে র‌্যাব-২ এর আভিযানিক দল ২৯/০৯/২০২০ তারিখ ২০.৩৫ ঘটিকায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকার বাদশার মোড় নামক স্থান হতে অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র ইসলামী জঙ্গিবাদী সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর ০৩ জন জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জঙ্গী সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, তারা দুই মাস আগে বাড়ি থেকে বাহির হয়। আটককৃত আসামীরা প্রত্যেকে নিয়মিত মাসিক ভিত্তিতে সংগঠনের জন্য চাঁদা সংগ্রহ/প্রদান করতো। গ্রেফতারকৃত আসামীরা ঢাকা/দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র ইসলামী জঙ্গীবাদী বই ও প্রচারপত্র নিজেদের দখলে রেখে ও প্রচার করে নতুন সদস্যদের দলভুক্ত করার কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের নিকট হতে উগ্র জঙ্গিবাদ বিষয়কবই, লিফলেট পাওয়া যায়। তাছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা ইলেক্ট্রনিক গেজেট হতে জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত থাকার সরাসরি প্রমাণ পাওয়া গেছে।