সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
এবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল একটি দৈনিক পত্রিকায় সাংসদ সেলিম ওসমানের প্রশংসা করে একটি বিবৃতি প্রদান করেছেন। আর সেই বিবৃতি পড়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আঁতাত করেই চলছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। যারা আঁতাত করছেন তারাই নাকি সুখে আছেন।
তবে, বিগত নির্বাচনে এটিএম কামালকে দল থেকে ঘোষিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় দেখা যায়নি। নানা অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচনী মাঠে তিনি ছিলেন নিস্ক্রিয়, এমন মন্তব্য দলটির অনেকেরই। যদিও প্রার্থী ঘোষণার পর দু একদিন স্বল্পকালিন সময়ের জন্য তাকে দেখা গিয়েছিলো দল ঘোষিত প্রার্থীর পাশে। সর্বশেষ দলটির মহাসচিবের সমাবেশে বন্দরে তাকে দেখা যায়।
অনেকের মতে আতাউর রহমান মুকুল, আজাদ বিশ্বাস, মনিরুল আলম সেন্টু, শাহ্ আলম ও খোরশেদদের কাতারে নাম লিখিয়েছেন এটিএম কামাল। মুকুল, আজাদ বিশ্বাস, সেন্টু, শাহ্ আলম ও খোরশেদ সহ বর্তমান বিএনপির অনেক নেতাই ভালো ও স্বচ্ছল থাকার জন্য ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবাশালীদের আতাত করে চলছেন। সেই সুবাদে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালও আতাতের পন্থা অবলম্বন করে চলছেন। দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপি সহ এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দদের প্রকৃত চেহারা বেরিয়ে আসছে এমন অভিযোগ দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।
স্থানীয় বিএনপির অনেকেই দাবি করেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির প্রথম সারিতে যারাই আছেন তাদের প্রায় সবারই আঁতত রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের দুই সাংসদের সাথে। কখনো কখনো তাদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধাও নিয়ে থাকেন বিএনপি নেতারা। ফলশ্রুতিতে তারা এখানে জোরালো কোনো আন্দোলন করেন না।
অপরদিকে, প্রথম সারিতে থাকা নেতারা আঁতাত করলেও বিপাকে সবসময়ই থাকেন কর্মীরা। যারা একের পর এক মামলার আসামী হয়ে দিনের পর দিন আদালত পাড়ায় দৌঁড়ঝাপ করছেন আবার কেউ কেউ এখনও মামলা বা হামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর প্রথম সারিতে থাকা নেতারা আঁতাত করে, ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে বেশ আরাম আয়েসেই আছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রাথী পক্ষে প্রচার না করে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে গিয়েছিলেন এটিএম কামাল। তবে সেই সময় অনেকেই অভিযোগ করে বলেছিলেন, ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েই তিনি এমনটা করেছেন। যদিও সেসময় এমন অভিযোগের স্বপক্ষে তেমন কোনো প্রমাণ সমালোচনাকারীরা উপস্থাপন করতে পারেননি।
তবে, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল নির্বাচনী মাঠে ছিলেন দাবি করে বলেছেন, যারা বলেন আমি নির্বাচনী মাঠে ছিলাম না তারা আমাদের দলের লোক হতে পারে না। তারা হচ্ছে জ্ঞানপাপী। তারা সমালোচনাকারী, গিবত করাই তাদের কাজ।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমি সেলিম ওসমানের প্রশংসা করেছি। একশোবার করবো। তিনি ভালো কাজ করেছেন। কেননা, পূর্বের কোনো এমপিই তার মতো দৃষ্টান্ত দেখাতে পারেনি। সেটি আমার দলের এমপিও দেখায়নি। এজন্য আমরাও ব্যর্থ। আমি সেলিম ওসমানকে স্যালুট জানাই। এজন্য যদি কেউ বলে থাকেন তার সাথে আমার আঁতাত রয়েছে তাহলে আমি বলবো তারা আঁতাতকারী।