আজ মঙ্গলবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তারাব পৌর সভার এবারের বাজেটে যা আছে

নবকুমার:

রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (১২ শ্রাবন,২৮ জুলাই) সকালে পৌর মিলনায়তনে তারাব পৌর সভার মেয়র হাছিনা গাজী ১শ ২৫ কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন। এটা দেশের সকল পৌরসভার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজেট। এবারের বাজেট কে গণমুখী উন্নয়ন বাজেট বলে উল্লেখ করেছেন হাছিনা গাজী। বাজেট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। তিনি তারাব পৌর বাসীর উদ্দেশে বলেন, আমি এমপির হওয়ার পরে ১০ বছর যাবত তারাব পৌরসভায় জনগণের উপর কোন কর ধার্য করা হয় নাই। জনগণকে কর মুক্ত রাখা হয়েছে। আমি ভোটের রাজনীতি করি । যেখানে ভোট বেশি সেখানে উন্নয়ন বেশি হয়েছে।

গোলাম দস্তগীর গাজী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তারাব পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু একটি জয়গায় আমরা উন্নয়ন ধরে রাখতে পারছি না। সেটা হলো জলাবদ্ধতা। গত বছর পৌর সভা এবং উপজেলা পরিষদ মিলে যৌথ ভাবে খাল খনন করা হয়েছিলো । সেই খাল পুনরায় ভরাট হয়ে গেছে। আমি বলতে চাই তারার পৌর সভার মেয়র হাছিনা গাজী এবং উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান সাহেবকে আপনারা যত দ্রুত সম্ভব তারাব পৌর সভার সকল খাল খননের কাজ শুরু করেন। জনগণকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করেন । আপনারা যদি খাল খনন না করেন তাহলে আমি আমার ক্ষমতা অনুযায়ী খাল খনন শুরু করে দেব। আমি আর জনগণের কষ্ট সইতে পারছি না। জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে । তারা সুখে শান্তি বসবাস করতে চায় । আর তাদের সুখ শান্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের।

বাজেট বক্তৃতায় তারাব পৌর সভার মেয়র হাছিনা গাজী বলেন,তারাব পৌর সভা একটি “ক” শ্রেণীর পৌর সভা । “ক” শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে বর্তমান পৌর পরিষদের চতুর্থ বাজেট। একটি পৌর সভার সম্ভাব্য আয় ব্যয়ের হিসাব এই বাজেট বিবরণীতে পাওয়া যায়। একটি উন্নয়ন ও কল্যাণময় বাজেট হতে পারে জনগণের মঙ্গলের হাতিয়ার। ২০০২ সালে গঠিত হয় তারাব পৌর সভা। এর পর এটি তারাব পৌর সভার সর্বোচ্চ বাজেট। গত বছরে তারাব পৌর সভা ঈর্ষনীয় রাজস্ব আয় করেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তারাব পৌর সভায় রাস্তা ড্রেন কালভার্ট রিটেইনিং ওয়াল , জলাবদ্ধতা নিরসন, মাটির রাস্তা নির্মান পুরাত রাস্তা ও ড্রেন সংস্কার ব্যাপক উন্নিত সাধিত হয়েছে। তারাব পৌর সভা পিপিপি এর মাধ্যমে পৌর সভা ও বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিজ এর যৌথ উদ্যোগে বহু রাস্তা ড্রেন কালভার্ট সড়ক বাতির স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যানিটেশন প্রজেক্ট একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। আমি আশা করি তারাব পৌরসভার জনগণ এ অর্থবছর থেকে এর সুফল ভোগ করবে।

নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ পৌরসভায় ডে -কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়েছে যা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

হাছিনা গাজী বলেন, আমার বিশ্বাস চলতি ২০১৯-২০ অর্থ বছরে তারাব পৌর সভায় অন্যান্য সরকারি বিভাগ মিলে ৩০০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন হবে। তারাব পৌর সভা ইতোমধ্যে এলজিইডি , জেলা পরিষদ ,ইউজিআইআইপি-৩,সিআরডিপি,আইইউআইডিপি ২য় পর্যায়,বিশেষ প্রকল্প , সিআরডিপি -২ এর আওতায় রাস্তা ড্রেন কালভার্টের ব্যাপক কার্যক্রম চলছে, যা অব্যাহত থাকবে।আরবান প্রাইমারি হেলর্থ কেয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে পৌরবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পৌর এলাকার ৭ হাজার ৫ শ পরিবারকে পারিবারিক স্বাস্থ্য সেবা পুষ্টি কার্ড এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।
পৌর সভাকে আমি (হাছিনা গাজী) ৫০ শতাংশ জমি দান করেছি। সেখানে পৌর অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হবে। তারাব পৌরসভা একটি দুর্নীতি মুক্ত মডেল পৌর সভায় রূপান্তর করা হবে। ২০১৯ -২০ অর্থ বছরে তারাব পৌর সভার মোট বাজেট ১ শ ২৫ কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা । মোট রাজস্ব আয় ২১ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মোট রাজস্ব ব্যয় ১০ কোটি ৩৭ লাখ ৫ হাজার টাকা। মোট উন্নয়ন আয় ১ শ ১৪ কোটি৭৮ লাখ টাকা। মোট উন্নয়ন ব্যয় ১ শ ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তারাব পৌর সভার সকল কাউন্সিলর কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ কাজ করে এ পৌর সভাকে উন্নয়নমুখী ও সেবাধর্মী পৌর সভা হিসেবে ভূমিকা রাখবেন এটা প্রত্যাশা করছি।

তারাব পৌর সভার এ বাজেট আমার চতুর্থ বাজেট। ইতিপূর্বে তিনটি উন্নয়নমূখী ও জন কল্যাণমূখী বাজেট প্রদান করা হয়েছে। তারাব পৌর সভার ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট একটি উন্নয়ন বাজেট । এ উন্নয়ন বাজেটে শুধু রাস্তাঘাট তৈরী হবে তা নয় এটি পৌরবাসীর জন্য একটি কল্যাণকর বাজেট, পৌরবাসীর সুখে শান্তিতে একটি পরিকল্পিত শহরে বসবাস করতে পারে। সেজন্য বর্তমান বাজেটে তার রূপরেখা প্রদান করা হয়েছে।

ঋণগ্রস্থ পৌর সভাকে একটি স্বাবলম্বী পৌর সভা করা হয়েছে। বিগত ৩ বছরে নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সার্বিক সহযোগিতায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় জেলা পরিষদের বরাদ্দ সহ মোট ২২০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। যা বাংলাদেশের অন্য পৌরসভাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। আমি মনে করি রাজস্ব আদায় তারাব পৌরসভা বিগত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি হয়েছে। আশা করি অতীতের চেয়ে এ বছর অনেক বেশি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হবে।

হাছিনা গাজী দায়িত্ব¡ নেয়ার পর থেকে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি সহ সার্বিক মূল্যায়নে দেশের সকল পৌরসভার মধ্যে মূল্যায়নে প্রথম স্থান অর্জন করেছে তারাব পৌরসভা। যার কারণে সরকার তারাব পৌর সভা কে নতুন কয়েকটি প্রকল্প দিয়েছে। তা হলো: ইউজিআইআইপি-৩ ,সিআরডিপি,আইইউআইডিপি ,বিএমডিএফ প্রকল্প। ইউজিআইআইপি -৪ প্রকল্পে অন্তভূক্ত হচ্ছে।
অডিটোরিয়াম নির্মাণের আমি হাছিনা গাজী ২৩ শতাংশ জমি দান করেছি। যেখানে ১ হাজার আসন বিশিষ্ট আধুনিক অডিটোরিয়াম নির্মান করা হবে।

বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য পৌর সভা থেকে ১০১ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়েছে। একনেকে উক্ত বর্ণিত প্রকল্প পাশ করা হয়েছে।

বাজেটে যা বরাদ্দ থাকছে:
বর্তমান অর্থবছরে তারাব পৌর সভায় ১০০০ আসন বিশিষ্ট একটি হাছিনা গাজী পৌর অডিটরিয়াম হবে। শিশুপার্ক কবরস্থানের উন্নয়ন শ্মশানঘাট তৈরী ,নতুন নতুন রাস্তা তৈরী সহ বড় বড় প্রকল্পের কাজ এ অর্থবছর থেকে শুরু হবে।
গোলাম দস্তগীর গাজী তারাব পৌর সভায় ১০টি প্রকল্প বরাদ্দ করেছেন।
গত তিন বছরে তারাব পৌরসভার মোট আয় :
২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের রাজস্ব আয় ৯ কোটি ২২ লাখ ২১ হাজার ৫৯ টাকা। ২০১৭ -২০১৮ অর্থবছরের রাজস্ব আয় ১০ কোটি ২৬ লাখ ৬হার ৪৬১ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্ব আয় ১৪ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০১৯ -২০২০ অর্থবছরে হবে পৌরবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের বছর। ২০১৯-২০২০ হবে উন্নয়নের বছর ,অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের রোল মডেল হবে তারাব পৌরসভা।

২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাজেটে রাজস্ব আয়ের খাত সমূহ:
গৃহ ও ভূমি কর ৩ কোটি টাকা। স্থবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর সাত কোটি টাকা। ইরামত নির্মাণ পূণ নির্মাণ দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা। পেশা, ব্যবসা কলিং ৯৫ লাখ টাকা। বিজ্ঞাপন জন্ম নিবন্ধন ও দত্তক গ্রহণ ১০ লাখ টাকা। বিজ্ঞাপন ৩০ লাখ টাকা। লাইন্সেস ফি- ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পৌর মার্কেট ৫ লাখ টাকা। অন্যান্য ৫ লাখ টাকা। টিউশন ফি ১০ লাখ টাকা। পরিবেশ ও অবস্থানগত অনাপত্তি ফি ৩০ লাখ টাকা হাট-বাজার ইজারা ৫ লাখ টাকা ।রোলার ভারা /মিক্সার মেশিন ভাড়া ৬ লাখ টাকা।অন্য সংস্থা কর্তৃক রাস্তা কর্তনের জন্য ক্ষতি পূরণ ২ কোটি টাকা। বিভিন্ন সার্টিফিকেট ৬ লাখ টাকা। বিভিন্ন ফরম ৮ লাখ টাকা। অংশীদারিত্বমূলক কাজ ২ কোটি টাকা।বেতন ভাতা সহায়তা ১ কোটি টাকা। যা মোট রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ২১ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

২০১৯ -২০২০ অর্থবছরে রাজস্ব ব্যয়ের খাত সমূহ:
মেয়র/কাউন্সিলরবৃন্দের সম্মানী ভাতা ৩০ লাখ টাকা। প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ৫ লাখ টাকা। কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।যানবাহন মেরামত ও জ্বালানী ৪৫ লাখ টাকা। যানবাহন ক্রয় (জীপ/কার) ৮০ লাখ টাকা। টেলিফোন সংযোগ ওবিল ২ লাখ টাকা।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/ কর্মচারীদের বেতন ভাতা ৭৫ লাখ টাকা । অন্যান্য ৪ লাখ টাকা।ঔষধ পত্র ও চিকিৎসা ৫ লাখ টাকা। ই.পি.আই কার্যক্রম ৩ লাখ টাকা। জলাবদ্ধতা নিরসন /খাল খনন ২০ লাখ টাকা। ময়লা আবর্জনা পরিস্কার ৬ লাখ টাকা। বৃক্ষরোপন ও রক্ষণাবেক্ষন ৫ লাখ টাকা। বিভিন্ন ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানে অনুদান ৩ লাখ টাকা। বিভিন্ন মসজিদ মন্দির ও গির্জায় অনুদান ৬ লাখ টাকা। জাতীয় / ধমীয় দিবস উদযাপন ২৫ লাখ টাকা।জরুরি ত্রান ও ক্ষতিপূরণ ২০ লাখ টাকা। কুকুর নিধন ও মশক নিধন ৩০ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ রাস্ত মেরামত ৬ লাখ টাকা।সড়কবাতির বিদ্যুৎ বিল ৩০ লাখ টাকা। বিজ্ঞাপন ও প্রচার ১০ লাখ টাকা। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংবর্ধনা/ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ৫ লাখ টাকা।বিশুদ্ধ পানির প্লান্ট স্থাপন / পানি নিষ্কাশন ৫ লাখ টাকা। নারী উন্নয়ন সংক্রান্ত ৬ লাখ টাকা।দারিদ্র বিমোচন ৮ লাখ টাকা। মোট রাজস্ব ব্যয় ১০ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

২০১৯ -২০২০ অর্থবছরের উন্নয়ন আয়:
সরকার প্রদত্ত উন্নয়ন সহায়তা মঞ্জুরী ১ কোটি টাকা মাত্র। রাজস্ব উদ্বৃত্ত ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা মাত্র। স্বেচ্ছা অনুদান ১০ কোটি টাকা । অফিস ভবন নির্মাণ ২ কোটি টাকা। বিশেষ বরাদ্দ ৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভলপমেন্ট ফান্ড ৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ওয়াটার সাপ্লাই ও স্যানিটেশন প্রকল্প ৩০ কোটি টাকা।গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) ৭ কোটি টাকা। নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প -২ বিশ কোটি টাকা। তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতি করণ প্রকল্প ১০ কোটি টাকা। জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড ৭ কোটি টাকা। অডিটোরিয়াম নির্মাণ ১২ কোটি টাকা।আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্প ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বিশেষ প্রকল্প ১০ কোটি টাকা। মোট উন্নয়ন আয় ১ শ ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

২০১৯ – ২০২০ অর্থ বছরে উন্নয়ন ব্যয়:-
রাস্তা নির্মাণ ২৫ কোটি টাকা। রাস্তা মেরামত /সংস্কার ১৫ কোটি টাকা। ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ ১৫ কোটি টাকা। ব্রিজ কালভার্ট মেরামত ও সংস্কার ২ কোটি টাকা। ড্রেন নির্মাণ/ খাল খনন /ডাস্টবিন নির্মাণ ১৫ কোটি টাকা। পানির লাইন স্থাপন /সম্প্রসারণ ৭৫ লাখ টাকা। গভীর /অগভীর নলকূপ স্থাপন ৫০ লাখ টাকা। কর্তনকৃত রাস্তা মেরামত ১০ লাখ টাকা। হাট-বাজার উন্নয়ন ১ কোটি টাকা। মসজিদ /মন্দির/ করবস্থান /শ্মশান / ঈদগা উন্নয়ন ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো নির্মাণ ৫০ লাখ টাকা। মাকের্ট নির্মান ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।সড়ক বাতি স্থাপন ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মাটির রাস্তা নির্মাণ ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। জমি অধিগ্রহণ / ক্রয় দুই কোটি । সেচ পাম্প এর বিদ্যুৎ বিল ৭৫ লাখ টাকা। মোট উন্নয়ন ব্যয় ১ শ ১৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

হাছিনা গাজী বলেন, আমি আমার দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি সততা আন্তরিকতা থাকলে পৌর বাসীর উন্নয়ন হবেই। ২০১৯ – ২০২০ অর্থবছরে মোট বাজেট ১ শ ২৫ কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রাজস্ব আয় ২১ কোটি ৮৫ লাখ৭০ হাজার। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রাজস্ব ব্যয় ১০ কোটি ৩ লাখ ৭৫ হাজার। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে উন্নয়ন আয় ১ শ ১৪ কোটি ৭৮ লাখ।। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে উন্নয়ন ব্যয় ১ শ ১৪ কোটি ৫০ লাখ।
প্রসঙ্গত এবারের বাজেট কে স্বাগত জানিয়েছে তারার পৌরবাসী। হাছিনা গাজীর নেতৃত্বে বদলে যাচ্ছে তারাব পৌর সভা। সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান।

বাজেট অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূইয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিক, রূপগঞ্জ উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন,আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, দৈনিক সংবাদচর্চার সম্পাদক মুন্না খাঁন, তারাব পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ভুঁইয়া, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, সচিব তাজুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী জেড এম আনোয়ার, কাউন্সিলর আমির হোসেন, হাজী আশরাফুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম মফিজ, জোসনা বেগম, উপজেলা মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক শিলা রানী পাল, সারোয়ার হোসেন রাসেল, মোশারফ হোসেন, মেহেদী হাসান বাবেল সহ অনেকে।