নিজস্ব প্রতিবেদক
বির্তক পিছু ছাড়ছেনা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরের। নিবার্চিত হওয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে ঝগড়া, জায়গা দখল ও হাট নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। সম্প্রতি ফতুল্লা মডেল থানার হাজত থেকে এক আসামীকে ছাড়াতে গিয়ে পুলিশকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে। পরে তাকেও আটক করা হলে আওয়ামী লীগের নেতারা মুচলেকা নিয়ে ছাড়িয়ে আনে। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই বৃহস্পতিবার রাতে ৮১ বস্তা চোরাই সিমেন্টসহ গ্রেপ্তার হয় ফাতেমা মনিরের মেয়ের জামাতা ইমরান। তবে ফাতেমা মনির বলছেন তাকে নিয়ে খেলা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ফতুল্লা মডেল থানার হাজত থেকে এক আসামীকে ছাড়িয়ে আনতে যায় ফাতেমা মনির। আসামি কে ছাড়াতে থানার পুলিশের সাথে প্রকাশ্যে বাক বির্তক ও পুলিশ কে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটে। পরে ফাতেমা মনিরকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগে সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী এবং মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান ফাতেমা মনির। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে আলীগঞ্জ এলাকা থেকে ৮১ বস্তা চোরাই সিমেন্ট নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরের মেয়ের জামাতা ইমরানসহ ২ জন গ্রেপ্তার হয়। পুলিশ বলছে, দীর্ঘ দিন ধরে ট্রাক থেকে চুরি করা বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্ট কেনা ও বেচা করে আসছে ইমরান। পরিবহন থেকে কৌশলে সিমেন্ট নামানো হয় সেই চোরাই সিমেন্ট ক্রয় করে গোডাউনে মজুত রেখে বিক্রি করতো মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের জামাতা।
এ বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির বলছেন, অনেক মুরব্বিরাও তো কত কিছু করছে তাদের কে তো ধরেন না। আমাকে নিয়ে খেলা হচ্ছে। সিমেন্ট চোর আমার জামাতা নয় যে পাপ করবে সে শাস্তি পাবে বলে জানান তিনি। জনমতে প্রশ্ন উঠেছে ফাতেমা মনির কে নিয়ে খেলছে কারা।