আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তফসিলের পর বিএনপির ৪ জনকে হত্যা: রিজভী

তাওসিফ মাইমুন: তফসিল ঘোষণা পর ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি দল ও পুলিশের হামলায় বিএনপির ১২ হাজার ৩৫৩ আহত ও ৪ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। এসময় গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ হাজার ২শ ৪৩ জনকে, হামলা হয়েছে ২ হাজার ৬শ ৯৩টি ও গায়েবি মামলা হয়েছে ৭৭৩ টি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

বুধবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, খালি হাতে কিভাবে সরকারের বিরুদ্ধে দাড়াবো? তারপরও সকল বাধা উপেক্ষা করে জনগণ ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাবে।রিজভী বলেন, সরকারের একতরফা নির্বাচনের পরিকল্পনা অনেকদিন পূর্বের। সেজন্য সরকারের অঙ্কিত মানচিত্র অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। এই আটকিয়ে রাখা সরকারের অবৈধ ক্ষমতার জোরে। বেগম খালেদা জিয়া নির্দোষ এবং কথিত মামলাগুলির সাথে তাঁর বিন্দুবিসর্গ সংশ্লিষ্টতাও নেই।

তিনি বলেন, সরকার প্রধান যে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই তাঁকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে, এখন প্রতিমূহুর্তে তাঁর উপর জুলুমের নিদর্শন দেখলেই সেটি স্পষ্ট বোঝা যায়। প্রতিটি কারাবন্দীর সাত দিন পর পর নিকটজনদের সাক্ষাতের বিধানের নিয়ম ভেঙ্গে সরকার বেগম জিয়াকে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে পনের দিন পর পর। এটিও বেগম জিয়াকে মানসিকভাবে নির্যাতনের একটি পন্থা। তবে গত ২১ ডিসেম্বর সাক্ষাতের ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও নিকটাত্মীয়দের তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি।

তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ওপর জুলুমের নানা ডাইমেনশন আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই তীব্র শীতে একটি জরাজীর্ণ কক্ষে তাঁকে জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। আমরা দলের পক্ষ থেকে মনে করি-পনের দিন পরেও বেগম জিয়ার নিকটজনদের তাঁর সাথে দেখা করতে না দেয়া সরকারের আরও একটি দূরভিসন্ধি ও চক্রান্ত। জনগণের বিপুল সমাদৃত জনপ্রিয় এই নেত্রীকে জুলুম করে পর্যুদস্ত করাটাই যেন সরকারের মূল এজেন্ডা। এই জুলুমের হিসাব একদিন জনগণের কাছে দিতেই হবে সরকারকে। দেশনেত্রীর সাথে তাঁর আত্মীয়স্বজনকে দেখা করতে না দেয়ার এই অমানবিক, ঘৃন্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তাঁর নিকটাত্মীয়দের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে হবে।