নাসিক ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালত ওই আদেশ দেন। আদালতে কোর্ট পরিদর্শক হাবিবুর রহমান ও এস আই কামাল হোসেন আদালতকে রিমান্ড প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন যুক্তি উত্থাপন করেন। আদালত তাৎক্ষনিক কোন আদেশ দেয়নি। পরে আদেশে রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দায় কাউসার নামের একজন ব্যবসায়ীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজীর ঘটনায় গত ১৮ এপ্রিল বিকেল ৩টায় শহরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে ডিবির একটি টিম আব্দুল করিম বাবুকে গ্রেফতার করে। এ মামলাতেই রিমান্ড আবেদন করা হয়।
এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে এবার ফতুল্লা মডেল থানায় দুইটি চাঁদাবাজী মামলা করা হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল ফতুল্লা উত্তর মাসদাইর এলাকার মো: নজরুল ইসলামের ছেলে মো: শরিফুল ইসলাম কুসুম ও পশ্চিম দেওভোগ এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মোক্তার হোসেন পৃথক অভিযোগে এই দুইটি মামলা দায়ের করেন।
এর মধ্যে মো: শরিফুল ইসলাম কুসুম ৬ লক্ষ ৬১ হাজার ৩০০ টাকা চাঁদাবাজী অভিযোগ করেছেন এবং মোক্তার হোসেন ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা চাদাবাজির অভিযোগ করেছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বিগত কয়েক বছর যাবত আব্দুল করিম বাবু টালাবাহানা করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতো।
মো: শরিফুল ইসলাম কুসুম মামলায় বাবু সহ ৮ জনকে আসামী করেছন। বাবু ছাড়া বাকিরা হলেন দেওভোগ এলাকার শংকর, ধর্মগঞ্জ এলাকাবার মিলন ও সুজন সহ অজ্ঞাত আরও ৩ থেকে ৪ জন।
মোক্তার হোসেনের দায়েরকৃত মামলায় আসামী করা হয়েছে ১৪ জন। বাবু ছাড়া বাকীরা হলেন বাংলাবাজার এলাকার রিপন, সেন্টু, রেজাউল করিম, চুন্নু মোল্লা, মমিন, জুয়েল প্রধান, রাজু প্রধান ও জাহাঙ্গীর সহ অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জন।