নিজস্ব প্রতিবেদক
সিদ্ধিরগঞ্জে ডিশ ব্যবসা ও ইন্টারনেট ব্যবসা কে কেন্দ্র করে সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলরের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে আদমজী কদমতলী সরকারী এমডব্লিউ কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশের সামনে উভয় পক্ষের হামলায় ৯ জন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরে ডিশ-ইন্টারনেট ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারে মুখোমুখি ছিলো দুই গ্রুপ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আদমজী কদমতলী এলাকায় জাহাঙ্গীর খান, শাহাবুদ্দিন প্রধান, নুরুল ইসলাম প্রধান, মমতাজ ও নাসিকের ৭নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী হোসেন আলার ছেলে আলামিন ডিস ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। সেই ডিস ব্যবসা দখল নিতে ৬ জুলাই রাতে নাসিকের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের সহযোগী আমির হোসেন কুট্টি ও রাসেল সহ তাদের লোকজন ডিশ লাইনের তার কেটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে জাহাঙ্গীর খান সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মজিবুর রহমান অভিযোগের তদন্ত করতে যান আদমজী কদমতলী সরকারী এমডব্লিউ কলেজের সামনে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে আমির হোসেন কুট্টিসহ তাদের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। এক পর্যায়ে কাউন্সিলর আলী হোসেন আলার লোকজনও সংর্ঘষে জড়িয়ে। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম প্রধান, জাহাঙ্গীর খান, রনি, সুমন, হাসান ও ইসলামসহ উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা জানান, আমার লোকের বৈধ ডিস লাইন দখল করছে হামলা করে দুই গ্রুপ। আমির হোসেন কুট্টিসহ তাদের লোকজন নিয়ে ডিস ব্যবসা দখল করতে চায়। তারা ৩ শতাধিক লোক নিয়ে এসে পুলিশের সামনে হামলা করে সংষর্ঘে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ সৃষ্টি হয়। আমির হোসেন সাবেক কাউন্সিল সিরাজুল ইসলামের লোক।
তবে সাবেক সিরাজুল ইসলাম মন্ডল বলেন, আমির হোসেন কুট্টি ঘটনাস্থলে ছিলো না। সে আমার লোক তবে ওই এলাকার। সংর্ঘষের ঘটনা তাদের সাথে ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. কামরুল ফারুক জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ইছহাক, তুষার, আকাশ নামে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। যারা আইনশৃঙ্খলা অবনতি করতে চায় তাদের কাউকে ছাড় দিবে না পুলিশ।