আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গাড়ি ওভারটেক করায় কাঠমিস্ত্রিকে মারধর

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যদের মোটরসাইকেল ওভারটেক করায় বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন এক কাঠমিস্ত্রি। পুলিশ সদস্যরা আসরাফুল ইসলাম (২৮) নামে ওই কাঠমিস্ত্রির মোটরসাইকেল আটক করে তাকে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে আহত আসরাফুল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ।

শুক্রবার (৮ মার্চ) ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে মারধরের শিকার আসরাফুল সাংবাদিকদের বলেন, রাতে ডাঙ্গীবাজার মোড়ে সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সে সময় সেখানে তাদের মোটরসাইকেল ওভারটেক করে যাওয়ায় আমাকে ধাওয়া করে। আমার মোটরসাইকেল থামিয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। বলেন, ‘আমাকে চেন? থানায় চল’। এরপর চার-পাঁচজন পুলিশ লাথি ও কিল-ঘুষি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন।

এ দিকে ঘটনার সময় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ওমর আলীসহ স্থানীয় কয়েকজন দোকানদার এ ঘটনা দেখে এগিয়ে আসলে তাদেরও পুলিশ আঘাত করে বলে তিনি দাবি করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী হায়দার আলী জানান, মারপিটের সময় বাধা দিতে গিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে কুসুম উদ্দীন, জাবেদ, আইজুল ও হামিদুল নামের চার ব্যবসায়ী আহত হয়।

বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান লিমন বলেন, আসরাফুলের পায়ে, হাতে পিঠেসহ সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আসরাফুলকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আসরাফুল বাবা আমাকে জানিয়েছে। আমি থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছি।

এদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই খাইরুজ্জামান বলেন, ধাক্কা-ধাক্কাকির ঘটনা ঘটেছিল। আমরা কাউকে মারপিট করিনি।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরুল হক বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমি কাঠমিস্ত্রি আসরাফুলকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম।

অন্যদিকে ঘটনার সম্পর্কে তদন্ত করে পুলিশের দোষ প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।