রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের ভুলতা গোলাকান্দাইল এলাকায় কর্মকর্ত কয়েকজন অফিসাররা এখন নতুন কৌশলে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় গোলাকান্দাইল এলাকায় যে গাড়িটি আসে তখনই প্রথমে রিকুজিশনের কথা বলে গাড়ী আটক করে এবং রিকুজিশন স্লিপ ধরিয়ে দেয়। এর পর খারাপ আচরনের পালা। টাকা না দিলেই পুলিশ লাইনে নিয়ে সাত দিন আটক রেখে ডিউটি করতে হবে। এটাই হলো তাদের প্রথম শর্ত। বেশী টাকা দিলে ডিউটি বাদ। যে যেভাবে ম্যানেজ করতে পারে সে সেভাবেই নির্যাতনের স্বীকার থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক সময় লোকের সামনে গাড়ি আটক করলে তখন ড্রাইভারকে স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে পরে আবার টাকা বিনিময়ে কনেস্ট্রবল দিয়ে ছাড়িয়ে দেয়ার কথা বলেন। আর এ সুযোগে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ একদিনের কথা বলে প্রথমে পারলে ৩ থেকে ৭দিন পর্যন্ত ডিউটি করিয়ে ছাড়ে। এতে গাড়ির মালিক ও ড্রাইভার পড়ে ভোগান্তিতে। ক্ষতি হয় ৩০থেকে ৪০হাজার টাকা। একাধিক ভুক্তভোগিরা জানান আমাদের পরিচয় দিলে কোন ক্রমেই গাড়ি ছাড়িয়ে নেয়া যায়না। তাই পরিচয় দিতে রাজি হয়নি।
ভুক্তভোগিদের একজন সাহস করে বলেই ফেলেন স্যার আমাদের একজনকে নয় একজনকে তো বলতেই হবে ট্রাফিক পুলিশের এই বাণিজ্যের নতুন কৌশলের কথাটা। মন্তব্যকারী ট্রাক চালক ইমরান হোসেন খানের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলা। তার বাবা সাইফুল ইসলাম। ট্রাক নং-ঢাকা-মেট্রো-ট-১৩-৪২৩৩। ইমরান বলেন টাকা দিয়েছি কিন্তু আমার মা বাবাকে অনেক গালিগালাজ করেছে। এ ছাড়াও অন্যরাও নানা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। দেখার কেউ নেই। সরকারের সকল অর্জনকে শেষ করে দিবে এই গুটি কয়েক পুলিশ কর্মকর্তা। সচেতন মহল মনে করেন এই সমস্ত দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া অতি জরুরী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ টিএসআই দেব কুমার গোলাকান্দাইল পুলিশ বক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাগজ দেখার নামে ২০হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছে। এর হাত থেকে পিকআপ ভ্যান, ট্রাক, নছিমন, করিমন, ভটভটি, অটো-রিকশা, মুরগী বহনকারী গাড়ী, ভ্যানগাড়ি রক্ষা পায়না।
টাকার কথা অস্বীকার করে দেব কুমার বলেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে সকাল বিকাল ২টি করে পিক-আপ গাড়ী দিতে হয়। তাই গাড়ী আটক করি কাগজ দেখি। কাগজ না থাকলে মামলা দেই।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগিদের অভিযোগ রিকুজিশনের সুযোগকে পুঁজি করেই কর্মরত অফিসাররা আটক বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। এখানকার কর্মরত পুলিশের সার্জেন্ট রফিক, নুরুজ্জামান ও দেব কুমার আইজি সাহেবের নির্দেশ না মেনেই কাগজ দেখার নামে চাঁদাবাজি করছে। এ ব্যাপারে টি আই মাহাবুব শাহ বলেন কোন পুলিশ সদস্যরা এর সাথে জড়িত প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিব। #####