আজ শুক্রবার, ৮ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জেলা বিএনপির একত্রিশে থাকছে কে

স্টাফ রিপোর্টার :
আংশিক আহবায়ক কমিটি গঠনের পর এবার পূর্নাঙ্গ কমিটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির তৃণমূল কর্মীদের মাঝে। কবে গঠিত হবে পূর্নাঙ্গ কমিটি, কিংবা তালিকায় উঠে আসবে কার নাম; সেই আলোচনা চলছে নেতাদের কর্মী সমর্থকদের মাঝে।
জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি গঠনের পর ১০ ফেব্রুয়ারি ওই কমিটিকে তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এতে বলা হয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির ৩১ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটির তালিকা প্রস্তুত করে কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দিতে হবে। ৩১ সদস্যের প্রস্তাবিত সেই তালিকায় কে থাকছে বা কে থাকছে না, সেই আলোচনা চলছে তৃণমূলে।
যদিও দলটির একটি সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অধিনস্থ ১০টি ইউনিট কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদেরকে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটিতে রাখা হবে। এক্ষেত্রে বর্তমান ১০টি ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে ২০ জন ও বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ৫ জন মিলে ২৫ জন ধরা হলেও বাকি থাকছে আরও ৬জন। এই ছয়জনের মধ্যে কে থাকছে বা কাকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে।
তবে সূত্রের দেয়া ওই তথ্য বা ফরমেটে জেলা বিএনপির পূর্র্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটি প্রস্তুত হবে কিনা- সেই বিষয়ে বর্তমান আহবায়ক কমিটির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে ভার্চুয়ালি মিটিং করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ। এতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীও উপস্থিত ছিলেন। মিটিংয়ে সাংগঠনিক তৎপরতা এবং যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নানা দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
এছাড়াও সময়োপযোগী পূর্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও বেশি গতিশীল ও জেলা বিএনপির প্রতিটি ইউনিট কমিটিকে ঢেলে সাজানোর প্রত্যয় নিয়ে ইতিমধ্যেই নতুন আহবায়ক কমিটি দফায় দফায় বৈঠক করেছে।
সাংগঠনিক বৈঠকগুলোতে কমিটির নেতৃবৃন্দরা বলেছেন, আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশে নতুন প্রেক্ষাপট তৈরী হওয়ায় এবং আগামীতে জাতীয় নির্বাচনের হাতছানি থাকায় সার্বিক বিষয় মাথায় রেখেই যোগ্য এবং সক্রিয় নেতাদের সমন্বয়ে পূর্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন করা হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকেও সেই নির্দেশনা এসেছে বলে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে।
একটি সূত্র বলছে, বর্তমান ১০টি ইউনিটের শীর্ষ পদস্থ নেতাদের নিয়ে জেলার আহবায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও এক্ষেত্রে ইউনিট কমিটিগুলোর সভাপতি বা সেক্রেটারিদের মধ্যে যারা বিতর্কে জড়িয়েছে কিংবা যারা কর্মী বিহীন নেতা হিসেবে পরিচিত, তাদেরকে জেলার আহবায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। সাংগঠনিক দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ, কর্মীবান্ধব, দলের প্রতি আনুগত্য, সক্ষমতা এবং ত্যাগ তিতিক্ষার বিচারে যারা উত্তীর্ণ হবেন, তারাই জায়গা করে নিতে পারবেন নতুন আহবায়ক কমিটিতে।
এক্ষেত্রে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী এবং যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার সহ সক্রিয় নেতারা আলোচনায় আছেন। সক্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতার বিচারে তাদেরকে আহবায়ক কমিটিতে রাখা হবে বলে মাঠ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আংশিক আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে মামুন মাহমুদকে আহবায়ক, মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপুকে ১নং যুগ্ম আহবায়ক, পর্যায়ক্রমে মাশুকুল ইসলাম রাজীব এবং শরীফ আহমেদ টুটুলকে যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক এমপি এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে সদস্য করা হয়।