আজ রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে আন্দোলনের ঘোষণা বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে গড়ে তোলা ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে’ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয় এবং মামলা-কারাবাসের ধকল কাটিয়ে ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে’ ইস্যু করে মাঠে নামতে চান চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন আন্দোলনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন। সংসদ নির্বাচনের দেড় মাস পর কারামুক্ত নগর বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা এই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন।

শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবের পর জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নামফলকে কালি লাগিয়ে জিয়া’র নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই জাদুঘর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমরা ইতোমধ্যে জাদুঘরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে ম্যুরালের কাপড় সরিয়ে ফেলা এবং নামফলকের কালি মুছে জিয়ার নাম পুনঃস্থাপনের জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছি। অন্যথায় ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা আন্দোলনে নামব।’
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে আছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি সিএমপি কমিশনার এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সফরে এসে সার্কিট হাউজের চার নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান। ভোরের দিকে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন। ওই বছরের ৩ জুন সার্কিট হাউসকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরের জন্য সরকারি প্রস্তাব গৃহীত হয়।

এরপর ১৯৯১ সালে জিয়াউর রহমান স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে। ১৯৯৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সেই জাদুঘরের উদ্বোধন করা হয়। জাদুঘরে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের নমুনা, ব্যক্তিগত সামগ্রী এবং স্বাধীনতা ঘোষণার ট্রান্সমিটারটি সংরক্ষিত আছে।