নবকুমার:
পাবনার সাথিয়া উপজেলায় জামায়াত বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে এসে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর হামলা ঘরবাড়ি ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করছে। গত ১৯ আগস্ট সাথিয়ার নাগডেমরা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের মেয়ে মুক্তির গায়ে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়েছে সাবেক জামায়াত নেতা বর্তমান নাগডেমরা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ জায়েদ আলী ও সালাম সহ তার লোকজন।
মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মুক্তি খাতুন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের দর্শন বিভাগের ছাত্রী। সে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে। তার শরীরের প্রায় ৬৫% পুড়ে গেছে।
জানা গেছে সাবেক জামায়াত নেতা ডাঃ জায়েদ আলী স্থানীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর হাত ধরে আওয়ামীলীগে যোগদান করে।
আহত মুক্তির ভাই লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানান, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান । আমার বোনটি আজ মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা আজ আওয়ামীলীগ সেজে বর্তমান এমপির মদদে আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করছে। আমার বোনের শরীর আগুনে পুড়িয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমাদের উপর হামলার ন্যায় বিচার চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে এই অন্যায় কারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আমার বোনের উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের সাহায্য কামনা করছি।
জানা গেছে এখন পর্যন্ত প্রধান আসামীদের গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ । আসামীদের খুটির জোর দেখে হতাশ স্থানীয় জনতা। আহত মুক্তিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে দেখতে যান সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ,সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বর্তমান পাবনা ১ আসনের এমপি এড শামসুল হক টুকু,আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ আউয়াল।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুক্তির উপর হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ। সেই সাথে তিনি আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছে।
সাথিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মুক্তির উপর হামলায় ৩২ জনের নামে মামলা হয়েছে। তার মধ্যে ২৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করছে। বাকী আসামী পলাতক রয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।