গত গ্রীষ্মে বার্সেলোনা থেকে ধারে বায়ার্ন মিউনিখে যাওয়ার পর ফিলিপ্পে কৌতিনহোর ক্যারিয়ার নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। কিন্তু কাতালান জায়ান্টদের হয়ে অনেকটা নিষ্প্রভ থাকলেও বাভারিয়ানদের হয়ে ঠিকই নিজের হারানো ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। বার্সার সঙ্গে বায়ার্নের খেলার ধরনের বিন্দুমাত্র মিল না থাকা সত্ত্বেও ঠিকই মানিয়ে নিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ওয়ের্ডার ব্রেমেনের বিপক্ষে বায়ার্নের ৬-১ গোলের বিশাল জয়ে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক তুলে নিয়েছেন কৌতিনহো। এই নিয়ে ক্লাব আর দেশের হয়ে এটি তার চতুর্থ হ্যাটট্রিক। শুধু হ্যাটট্রিক করেই অবশ্য ক্ষান্ত হননি, ব্রেমেনের বিপক্ষে দুটি অ্যাসিস্টও করেছেন কৌতিনহো।
ম্যাচের শুরুতে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়া বায়ার্নকে ৪৫তম মিনিটে সমতা এনে দেওয়া গোলটি এসেছে কৌতিনহোর পা থেকেই। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রবার্ট লেভানডোভস্কির করা গোলটি তারই বানিয়ে দেওয়া। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৬০ মিনিট পার হতেই ব্যবধান ৩-১ করেন তিনি।
টমাস মুলারের করা গোলেও কৌতিনহোর সরাসরি অবদান ছিল। আর দলের শেষ গোলটি করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। এর আগে তিনি দেশের জার্সিতে হাইতি আর ক্লাবের জার্সিতে স্পার্তাক মস্কো, লেভান্তের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছিলেন।
এদিকে কৌতিনহোর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ বায়ার্নের ভারপ্রাপ্ত কোচ হ্যান্সি ফ্লিক থেকে শুরু করে সতীর্থরাও। এর মধ্যে লেভানডোভস্কি তো বলেই দিয়েছেন, ‘সে যা করেছে তা অবিশ্বাস্য। আমাদের এমন খেলোয়াড় প্রয়োজন। আমি খুশি যে সে কতোটা ভালো এবং কতোটা কার্যকর তা সে দেখাতে পেরেছে।’
তবে সবচেয়ে মজার মন্তব্য করেছেন ডেভিড আলাবা। ম্যাচ শেষে এই বায়ার্ন তারকা বলেন, ‘আপনি যদি আজকে তার খেলা দেখে থাকেন, ওকে আমাদের কিনে নেওয়া উচিৎ, তাই না?’
২০১৮ সালে লিভারপুল ছেড়ে বার্সেলোনায় পাড়ি জমানোর পর থেকেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন কৌতিনহো। কিন্তু নিজেকে খুঁজে তিনি ঠিকই পেলেন, কিন্তু বার্সেলোনায় নয়, বায়ার্নে এসে। বিশেষ করে নিকো কোভাচকে বরখাস্ত করে ফ্লিক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে।
কৌতিনহোর বর্তমান যে ফর্ম তাতে তাকে বায়ার্নের স্থায়ীভাবে কিনে নেওয়ার আগ্রহ দেখানোই স্বাভাবিক। আর সেই দরজা খোলাও আছে। কৌতিনহোর ধারের চুক্তিতে বাইআউট ক্লজের ব্যবস্থা রাখা আছে। অর্থাৎ, আগামী গ্রীষ্মে চাইলে তাকে কিনে নিতে পারবে বায়ার্ন। তবে এজন্য ১২০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হবে।