নিজস্ব প্রতিবেদক:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে। কিছু নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে বরাদ্দ থাকবে।
তিনি বলেন, এমপিও সংস্কারের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় খুব বেশি আগ্রহী বলে আমার কাছে মনে হয় না। তারা সেভাবে সহযোগিতা করছে না।
বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাক্ষে অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
আগামী বাজেটে মানবসম্পদ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশনের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে মানবসম্পদ উন্নয়ন। দ্বিতীয় গুরুত্ব পাবে পরিবহন ও জ্বালানি খাত। বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার মতো এবং ৩০ জুন বাজেট পাস হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে স্কুল বাস নামানোর বিষয়ে ঘোষণা থাকবে। বর্তমানে দেশে করপোরেট ট্যাক্স খুব বেশি। আগামী বাজেটে এটা কিছুটা কমানো হবে বলেও জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চিনিশিল্প পুরোপুরি আখের ওপর নির্ভরশীল নয়।এই শিল্পকে ট্যারিফ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। অথচ বিদেশ থেকে আমদানি করলেই আমরা এই চিনি কম দামে পেতে পারি। কাজেই আমার মতে, চিনিশিল্প রাখা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চলতি অর্থবছর শেষে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে। করপোরেট ট্যাক্স এ বছরের বাজেটে রিফর্ম (কমানো) হবে। তবে ট্যাক্সের পরিধি বাড়বে। আমরা আশা করছি, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ৫০-৬০ শতাংশ লোক ট্যাক্স দেবে।’
আবদুল মুহিত বলেন, ‘এবারের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমাও কিছুটা বাড়ানো হবে। আগামী বাজেটের আকার বিষয়ে তিনি বলেন, বাজেট হবে প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার।’