সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দিনের সরকারি সফরে আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-০০১ যোগে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছে প্রধানমন্ত্রী।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন বাহিনী প্রধানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।
একই দিন লন্ডনের স্থানীয় সময় ৩টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন।
দু দিন লন্ডনে থাকার পর ২৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় ১টা ৪০ মিনিটে নিউজার্সির নিউইয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছানোর কথা প্রধানমন্ত্রীর। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মোটর শোভাযাত্রায় নিয়ে যাওয়া হবে নিউইয়র্কে। সেখানে ম্যানহাটনের গ্রান্ড হায়াত হোটেলে উঠবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে জাতিসংঘ সদর দফতরের কাছাকাছি অবস্থিত এই হোটেলেই অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
শেখ হাসিনার এবারের সফরকালে দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার গ্রহণের কথা রয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনায় বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া এবং রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে শান্তিপূর্ণ কূটনীতিক প্রচেষ্টার জন্য ইন্টার প্রেস সার্ভিস এবং গ্লোবাল হোপ তাকে পুরস্কৃত করবে।
আর ২৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। বরাবরের মতো এবারও এই বিশ্বসভায় বাংলায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।
সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোনিও গুতেরেস ছাড়াও বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কর্মসূচিও চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীসহ মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য, সংশ্লিষ্ট কয়েকজন সচিব ও নানা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সংবাদকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর এই সফরেও সঙ্গী হয়েছেন।