আজ রবিবার, ২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জনবিস্ফোরণ ঠেকালেন মন্ত্রী গাজী

নবকুমার:

বাংলাদেশের রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক ।তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী এবং ক্রীড়া সংগঠক । তিনি যেখানেই যান সেখানেই বদলে যায় দৃশ্য পট। সম্প্রতি বকেয়া বেতন সহ নয় দফা দাবিতে পাটকল শ্রমিকরা সারা দেশে আন্দোলনের ডাক দেয়। সেই ডাকে সারা দেশ অচল হতে থাকে। শ্রমিকদের আন্দোলন এমন পর্যায়ে গেছিলো তাতে যে কোন সময় জনবিস্ফোরণ ঘটত। অল্পের জন্য শ্রমিকদের সেই জনবিস্ফোরণ ঠেকিয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। তিনি শুধু জনবিস্ফোরনই ঠেকান নাই হাজারো শ্রমিকের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পাট কল শ্রমিকদের দাবি নিয়ে কথা বলেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী।

গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীনে ঢাকা চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রায় ২৬ হাজার স্থায়ী শ্রমিক ঈদের আগে বকেয়া বেতন ও বোনাস পেয়েছেন। আর এই বেতন বোনাস পেয়ে খুশি দেশের পাটকল শ্রমিকরা। শ্রমিকরা বলছেন, এতো কিছু সম্ভব হয়েছে বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীর প্রতীক) ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়।

এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বললেন, বঙ্গবন্ধু পাটের জন্য এ দেশ স্বাধীন করেছে । আর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা কালে পাটল কল শ্রমিকরা না খেয়ে মরবে তা হতে পারে না। শ্রমিক বান্ধব বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন বোনাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পাটশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঈদ সামনে রেখে পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধে গত ২৭ মে ১৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার ‘থোক বরাদ্দ’ দেয় সরকার। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) শ্রমিকদের ১৬৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা বকেয়া বেতন শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে চলে গেছে। এতেই তাদের খুশির কথা জানিয়েছেন পাটকল শ্রমিকরা।

এব্যাপারে বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রচেষ্টায় আমরা শ্রমিকদের ঈদের আগে মজুরি ও বোনাস দিতে পেরেছি। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শ্রমিকদের সমস্যাগুলো নিয়ে দেখা না করতেন তাহলে আমরা কখনো শ্রমিকদের আন্দোলন থামাতে পারতাম না। একই সাথে ঈদের আগে হাজারও শ্রমিকদের মুখে হাসি ফোঁটাতে পারতাম না। আমরা সামনের দিনগুলোতে পাটশিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাব। আশা করি পাট শিল্পের সুদিন অচিরেই ফিরে আসবে ।
শ্রমিকদের দাবির মধ্যে ছিলো, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ এর সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকের বীমার বকেয়া টাকা প্রদান, টার্মিনেশন ও বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ীকরণ, মৌসুমের সময় পাট কিনতে অর্থ বরাদ্দ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করা।

বকেয়া বেতন ও বোনাস পাওয়ায় দেশে অন্যতম পাট শিল্প অঞ্চল খুলনার খালিশপুরে আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানকার শ্রমিকরা তাদের অতীতের সকল ক্ষোভ ভুলে নতুন উদ্যমে কাজে নামার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। শ্রমিকরা বলেছেন মজুরি বোনাস বকেয়া থাকার কারণে বছরের পর বছরের তারা আনন্দে ঈদ করতে পারেন নি। এবছর তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে ঈদ কাটাতে পারবেন।