আজ রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছেলেদের যে বিষয় গুলো মেয়েদের পছন্দ না

ছেলেদের যে বিষয় গুলো

ছেলেদের যে বিষয় গুলো

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

পৃথিবীতে পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন যেমন অচল তেমনি নারী ছাড়া পুরুয়ের জীবন অচল। ছেয়ে মেয়েরা চাইলেই যে কেউ এর সাথে সম্পর্ক তৈরী করতে পারে না।তৈরি হলেও কিছুদিন পর ভেঙে যাচ্ছে। প্রতিবারই মন ভাঙার শিকার হচ্ছেন আপনি, কারো কারো বিয়েতেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। প্রশ্নটি তাই রয়েই যাচ্ছে- মেয়েরা আপনাকে পছন্দ করছে না কেন? কিংবা কি সেই কারণ যার ফলে নারীদের অপছন্দের পাত্র হয়ে যাচ্ছেন আপনি?

উত্তর লুকিয়ে আছে আপনারই আচরণের মাঝে। নিজের অজান্তেই আমরা প্রায়ই এমন কিছু আচরণ করে ফেলি, যা অন্যদের চোখে আমাদের ব্যক্তিত্বের হানি ঘটায়। ফলে কারো প্রিয় পাত্র হয়ে উঠা হয় না, ভালো সম্পর্কও সহজে নষ্ট হয়ে যায়। পুরুষের কোন আচরণগুলো নারীর চোখে ভালো দেখায় না, বিস্তারিত থাকছে আজকের ফিচারে।

চরিত্রহীনতা
এটি এমন একটি দোষ, যা নারীরা কোনোভাবেই ক্ষমা করতে পারেন না। একজন চরিত্রহীন পুরুষের সাথে সম্পর্ক নারীদের চোখে অভিশপ্ত একটি ব্যাপার। পছন্দের পুরুষ অন্য নারীর প্রতি আসক্ত, ইভটিজিং করে, ধর্ষণকে সমর্থন করে, পর্ন আসক্ত এমন প্রমাণ পেলে নারীদের ভালোবাসা ও আগ্রহও শেষ হয়ে যায়।

কাপুরুষতা
যত যাই হোক, মনে মনে প্রত্যেক নারীই কামনা করেন যে তার ভালোবাসার পুরুষটি হবেন একজন সাহসী মানুষ। পুরুষের অনেক দোষ নারী ক্ষমা করতে পারলেও কাপুরুষতা ক্ষমা করতে পারেন না। ভীরু পুরুষদের সাথে কোনো নারীই নিজেকে নিরাপদ মনে করেন না। ফলে এক সময়ে নিজেকে সরিয়ে নেন।

বড্ড বেশি গায়ে পড়া স্বভাব
কাউকে ভালো লাগে বা কারো সাথে সম্পর্ক আছে মানেই সারাদিন তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করাটা ব্যক্তিত্বহীনতার লক্ষণ। সম্পর্ক আছে বলেই সারাদিন কথা বলতে হবে বা একসাথে দেখা করতে হবে, বিষয়টি তেমন নয়। বরং সারাদিন একটি মানুষের সাথে গায়ে পড়া আচরণ করলে বা তাকে নিজের জন্য একটু সময় না দিতে চাইলে খুব অচিরেই আপনি অবহেলার পাত্র হয়ে যাবেন।

অতিরিক্ত উপহার দেওয়া-নেওয়া
জানাশোনার শুরুতেই অতিরিক্ত উপহার দেওয়া-নেওয়া করাটা আরও বড় একটি ভুল। এতে সম্পর্ক কেবল উপহারের ওপরে ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে থাকে। কিছু অর্থলিপ্সু নারী উপহারের জন্যেই আপনার কাছে আসবে, উপহার ফুরিয়ে গেলে সরেও যাবে। ফলে মনটা ভাঙবে কেবলই আপনার একার।

অভিভাবক হতে চেষ্টা করা
আপনার পছন্দের নারীর প্রিয় পুরুষ হতে চান আপনি, কোনো প্রয়োজন কি আছে অভিভাবক হওয়ার? তিনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ, আপনি তাকে শাসন করার কেউ নন। কী করতে হবে আর কী করতে হবে না, সেটা আপনার মুখ থেকে মানায় না। একই সাথে সন্দেহ করা, গোয়েন্দাগিরি করার অভ্যাসও ত্যাগ করতে হবে। পছন্দের নারীকে শাসন করার চেষ্টা করতে গিয়ে অসংখ্য পুরুষ আজীবনের জন্য ভালোবাসা হারিয়ে ফেলেন।

রুক্ষ্ম, অভদ্র আচরণ
কর্কশভাবে কথা বলা, বাজে শব্দ বা অঙ্গভঙ্গি করার ব্যাপারটিকে প্রায় সকল নারীই খুব অপছন্দ করেন। যারা মুখে প্রকাশ করেন না, তারাও ব্যাপারটি নিয়ে মনে মনে অসন্তুষ্ট হয়ে থাকেন। পুরুষরা যেমন মনে করেন পছন্দের নারীকে সর্বদা সুন্দর দেখাক, তেমনই নারীরাও চান পছন্দের পুরুষটি হোক নিখুঁত ভদ্রলোক। সুন্দর করে কথা বলা, সুন্দর পোশাক পরা ইত্যাদি সব কিছুই ভদ্রতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বাজে ভাষায় কথা বলা, গালাগালি করা, গায়ে হাত তোলা, পরিবারকে অসম্মান করা ইত্যাদি নারীরা গভীরভাবে অপছন্দ করেন একজন পুরুষের মাঝে।

শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে শুরুতেই বাড়াবাড়ি করা
সম্পর্ক গভীর হতে শুরু করলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রসঙ্গ আসতেই পারে। কিন্তু সম্পর্কের শুরুতেই এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা, শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য জোরজবরদস্তি করা ইত্যাদিকে বেশিরভাগ নারীই ভালো চোখে দেখেন না। মনে মনে একটি ঋণাত্মক ধারণা জন্মে যায়। চিন্তা করেন ছেলেটি হয়তো কেবলই তার শরীরের প্রতি আকর্ষিত। তাই সঙ্গিনীর আগ্রহ না থাকা সত্ত্বেও আপনি যদি শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে সামনে বাড়ান, তখন দুজনের সম্পর্ক পতন অনিবার্য।

আধুনিক পুরুষ প্রাচীন ধারণা লালন করেন না, আধুনিক পুরুষ নারী নির্যাতনে বিশ্বাস করেন না, আধুনিক পুরুষ সম্মান-সমতায় বিশ্বাস করেন। দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে, সম্পর্কের সমীকরণও বদলে যাবে।