আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়াটা ঠিক হয় নি- চরমোনাই পীর

ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়া

ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়া

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোটা সংস্কারের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে চরমোনাই পীর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহা. রেজাউল করীম বলেছেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যে সকল শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়াটা ঠিক হয় নি। আহত শিক্ষার্থীদের সকল চিকিৎসা ব্যয় এই সরকারকে বহন করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
রবিবার (৮ জুলাই) বিকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার কার্যালয় এর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়নগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদ।
বর্তমান সরকার দেশ চালাতে অযোগ্য মন্তব্য করে পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহা. রেজাউল করীম বলেন, এই দেশ এখন মানুষের বসবাসের উপযোগী না। আমাদের এমপি প্রার্থী যিনি কিনা এর আগেও হাতপাখায় নির্বাচন করেছেন তাকে শিবিরের সাধারণ সম্পাদক বলে কারাগারে বন্দি রেখেছে বেশ কয়েকদিন। আমাদের নেতাকে শিবিরের সাথে জড়ানো হয়েছে। অন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর সরকারের যে প্রশাসন রয়েছে তারা শফিককে এতোদিন আটকে রেখে এটা প্রমান করেছে, এই সরকার দেশ চালাতে অযোগ্য। আমরা এই কর্মকান্ডের জন্য ধিক্কার জানাই।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আল্লাহভীরু নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে না পারলে জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব হবে না। আল্লাহর ভয় না থাকায় মানুষ কত যে হিং¯্র হতে পারে তা না দেখলে বোঝা কঠিন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। অভিশপ্ত নারী নেতৃত্ব ও তাগুতি শাসনের পিছনে না থেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ব্রত হতে হবে।
আলোচনা সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে এত অনিয়ম না হলে ভোটের ফলাফল অন্যরকম হতো। আসন্ন তিন সিটিতে অবাধ ভোট হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভোট সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমাদের এমপি প্রার্থী শফিক ভাইকে শিবিরের সেক্রেটারি বলে আটকে রেখেছিল। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই শক্ত অবস্থানে যাই নি। আমরা আমাদের দিক থেকে ঠিক আছি বলেই আজ শফিক ভাই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আমরা দেশের সকল মানুষের আস্থার জায়গায় পৌছাতে পারছি। আমাদের সংগঠন বাড়তেছে তাই হামলা-মামলাও বাড়বে। এতে ভীত কিংবা শঙ্কিত হবার কিছু নেই। শফিক ভাইয়ের সাথে আমার সবাই যেমন থেকেছি ভবিষ্যতে সকলের জন্যই এভাবে লড়ে যাবো।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আবুল কালাম মুন্সি, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, ছাত্র ও যুব সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান, শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন মহানগরের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মুহাম্মদ খালিদ, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর, ইশা ছাত্র আন্দোলন জেলার সভাপতি মুহা. ইমদাদুল হক, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন মহানগরের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ হাসান আলী, সদর থানার সভাপতি শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।