নিজস্ব প্রতিবেদক
শহরের প্রাণ কেন্দ্র ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চাঁদা উত্তোলন করছে ছাত্রলীগ নামধারী শান্ত ও শুভ। ক’দিন আগে তারা দেওভোগের আল আমীন কে হটিয়ে এ বাণিজ্য দখলে নেয়। তবে এ অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের সাথে শহরের চিহ্নিত জুয়াড়ি ছোট শাহজাহানও জড়িত বলে জানা গেছে।
হকাররা জানান, শহরের ২ নম্বর গেট থেকে ১ নম্বর গেট পর্যন্ত প্রায় ৩ শতাধিক দোকানে প্রতিদিন বাতি জ্বলে। জেনারেটরের সংযোগের কথা বলে তারা বিদ্যু সংযোগ দেয়। কিন্ত জেনারেটর নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা। দুই ছাত্রলীগ নেতা শুভ ও শান্ত বিদ্যুৎ চুরি করে এ অবৈধ সংযোগ দিয়েছে বলে জানান তারা। তাদের দেয়া তথ্য মতে, বাতি প্রতি ২০ টাকা করে নিচ্ছে রায়হান নামে একজন। সে শান্ত ও শুভ’র লাইনম্যান হিসেবে কাজ করে। কেউ তাদের চাঁদা না দিলে রায়হান মারধর করতে চায়। তারা মিটারের কথা বলে দোকানীদের খুঁটি থেকে সংযোগ নিয়ে দিয়েছে বলে জানান হকাররা। এর আগে এ অবৈধ সংযোগের বাণিজ্য করতো আল আমীন নামের একজন।
এ বিষয়ে আল আমীন বলেন, এখন আমার বিদ্যুাৎ সংযোগ নেই। ওরা আমার কাছ থেকে লাইন নিয়ে গেছে। শান্ত ও শুভরা আমার বাড়িতে এসেছিলো তখন আমি মুন্সিগঞ্জে ছিলাম। তারা রাজনীতি করে তাই ভয়ে কিছু বলতে পারি নাই। তাদের লাইন লাগবে তারা নিয়ে গেছে।
অবৈধ সংযোগের লাইনম্যান নয়ন ওরফে রায়হান বলেন, আগে তো আলামিন ৩০ টাকা নিতো এখন ২০ টাকা নেই আমরা। এখন শান্তু মামা ও শুভ মামা লাইন চালায়। বিদ্যুতের মিটারের ব্যাপারে মামারা জানে। শান্তু মামা ও শুভ মামা ছাত্রলীগের ছোট-খাটো কর্মী বলে জানায় টাকা উত্তোলনকারী রায়হান। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে রায়হান বলে বাস স্ট্যান্ডের ছোট শাহজাহানের কাছ থেকে বিদ্যুৎ নিয়েছে তারা।
তবে এ বিষয়ে ছোট শাহজাহান বলেন, আমার কাছ থেকে কেউ বিদ্যুাৎ সংযোগ নেয়নি। ওই লাইন লাইন আমার নয়। ২ নম্বর গেট এলাকার বিদ্যুাৎ সংযোগ ছিলো আলামিনের। এখন পরিচালনা করে শান্ত, শুভ, নয়নরা। ছোট শাহজাহান আরও বলেন, আলামিন বিএনপির ছেলেদের নিয়ে আমার লাইন দখল করতে এসেছিলা। এখন ওর লাইন নিয়ে গেছে।
অবৈধ বিদ্যুৎ লাইনের বিষয়ে অস্বীকার করে শান্ত জানান, রায়হান নামে কাউকে চিনি না। শুভ নামে তো কত ছোটভাই আছে। শান্ত আরও জানান, পূর্বের ছাত্রলীগ কমিটিতে ছিলেন তিনি। এখন তিনি ছাত্রলীগে নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ডিপিডিসি) পূর্ব জোনের প্রকৌশলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমরা বিদ্যুৎ বিভাগে এ বিষয়ে জানানো। কেউ কাউকে হুমকি, মারধর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।