সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ
এমনিতেই নারায়ণগঞ্জের সড়কে চলাচলের কোনো অনুমতি নেই গ্রীন অনাবিল পরিবহনের। তার উপর হরহামেশাই শহরের ব্যস্ততম রাস্তার উপর গাড়ি পার্কিং করে রাখে যানবাহনটির চালকরা। নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে রাস্তার মাঝে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলার ঘটনাও রয়েছে। আর এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। অন্যদিকে পরিবহনটির বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে চলাচল করা যাত্রীদের।
শহরবাসির অভিযোগ, মেট্টো হল মোড়ে গ্রীন অনাবিল পরিবহনের ১০ থেকে ১২টি গাড়ি সব সময়ই রাস্তার উপর রেখে দেয়। এর ফলে চার পাশের রাস্তায় ব্যপক যানজট সৃষ্টি হয়। তাছাড়া শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে রাস্তার মাঝখানে সব সময়ই ২ থেকে ৩টি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখে। এতে চাষাঢার রাস্তায় সৃষ্ট যানজটে মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের মেট্টো হলের সামনে দুই শাড়িতে ৭টি অনাবিল পরিবহনের গাড়ি গাজীপুর যাওয়ার উদেশ্যে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে আছে। তার পিছনেই রয়েছে শীতল পরিবহন। এর পাশে রয়েছে মৌমিতা পরিবহন। আর এসব পরিবহনের জন্য এই সড়কে অন্যসব পরিবহন চলাচল করতে পারছে না। এতে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তবে শহরের চাষাঢায় চিত্র অন্য সব স্থানের চেয়ে ভিন্ন। এখানে বেশি যাত্রী থাকায় রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়েই যাত্রী উঠায় তারা। এতে পিছনে থাকা অন্য পরিবহন চলাচল করতে পারে না।
জানা গেছে, বিআরটিএ এর রুট পারমিট ছাড়াই নারায়ণগঞ্জ জেলার সড়কে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করছে গ্রীন অনাবিল পরিবহনের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি গাড়ি। এসব গাড়ি সাইনবোর্ড থেকে গাজীপুর পর্যন্ত রুট পারমিট থাকলেও গত এক বছরের বেশি সময় ধরে নিজেদের পরিবহনে নারায়নগঞ্জ টু গাজীপুরের ব্যানার লাগিয়ে চাষাঢা প্রবেশ করছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে বিভিন্ন সেক্টরে মোটা অংকের টাকা দিয়ে রুট পারমিট ছাড়াই সড়কে অবৈধ ভাবে পরিবহন চালাচ্ছে গ্রীন অনাবিলের পরিচালক কামাল।
বিভিন্ন সূত্রে থেকে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে বিআরটিএ এর কাছে গ্রীন অনাবিল পরিবহনের কর্তারা সাইনবোর্ড থেকে চাষাঢা প্রবেশ করার অনুমতি চায়। পরে বিআরটিএ তাদের এই সড়কে চলাচলের রুট পারমিট দেয়নি। তবে লিখিত অনুমতি পত্র জমা দেয়ার কয়েক মাস পর থেকেই চাষাঢা প্রবেশ শুরু করে গ্রীন অনাবিল পরিবহন। পাশাপাশি এই সড়কে চলাচল করা প্রতিটি গাড়িতে নারায়ণগঞ্জ টু গাজীপুরের ব্যানার ছেপে দেয়।