নিজস্ব প্রতিনিধি: বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এক সময়ের তুখোড় নেতা গোলাম সারোয়ারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার ৩০ অক্টোবর। ২০১৫ সালের সালের এ দিনে তিনি ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দিনব্যাপী কোরআন খতম ও বাদ আছর শহরের উত্তর চাষাঢ়া রামবাবুর পুকুর পাড় জামে মসজিদ দোয়া পালন করা হবে যেখানে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানিয়েছেন তাঁর ছোট ভাই শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু।
তিনি নিউজ নারায়ণগঞ্জকে জানান, আমি দলমত নির্বিশেষে সকলকে আহবান রাখবো যেন আমার ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়াতে অংশ নেন কারণ মৃত্যুর পর জানাযাতে সকল স্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর মৃত্যুর আগের ২০ দিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন গোলাম সারোয়ার। তার প্রচ- জ¦র ছিল। প্রথমে তাকে ল্যাব এইডে নেয়া হলে ল্যাব এইড কর্তৃপক্ষ তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখে। সেটাই তাকে বেশী ক্ষতি করেছে। পরে তাকে ল্যাব এইড থেকে শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি ১০ দিন চিকিৎসাধীন ছিল। তবে তারপরেও তার শারিরীক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ও পরে ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন সারোয়ার। নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমী স্কুল থেকে ইংরেজীতে রেকর্ড নাম্বার পেয়ে তিনি এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাশ করেন। পরে তিনি তোলারাম কলেজ থেকে ¯œাতক পাশ করেন। তোলারাম কলেজে পড়ার সময় থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন।
১৯৮৮ সালে চাষাঢ়া-মিশনপাড়ার রাজনৈতিক বিরোধের সময়ে জেলাজুড়ে আলোচিত হন সারোয়ার। এরপর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনেও সারোয়ার ছিলেন আলোচিত। নব্বই দশকে শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সক্রিয় ছিলেন রাজনীতির মাঠে। ১৯৯৬ সালে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সারোয়ারের নাম ছড়িয়ে পড়ে জেলা জুড়েই। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজনীতি থেকে এক প্রকার নির্বাসিতই ছিলেন সারোয়ার। পরে তিনি ভারতে ছিলেন কয়েক বছর। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সারোয়ার দেশে ফিরে আসলেও শারিরীক অসুস্থ্যতার কারণে রাজনীতিতে সক্রিয় হননি। এর মধ্যে সারোয়ার মস্তিস্ক, কিডনী রোগে ভুগছিলেন।