আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মন্ত্রী গাজীসহ খেতাবপ্রাপ্ত ৩ মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে স্মারক খাম উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে স্মারক খাম উন্মোচন করল ফিলাটেলিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (পিএবি)। খেতাবপ্রাপ্ত ওই তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা হলেন- নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম) , বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসরুর উল হক সিদ্দিকী (কমল সিদ্দিকী) বীর উত্তম।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে ডাক বিভাগের সভাকক্ষে (ঢাকা জিপিও) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এই স্মারক খাম উন্মোচন করা হয়।

ফিলাটেলিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (পিএবি)-এর সভাপতি হাবিবুল আলমের (বীর প্রতীক) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত তিন বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, যমুনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম আশরিয়া, দৈনিক সারাবাংলা ও সারাবাংলা ডটনেটের প্রধান উপদেষ্টা সানিয়া বিনতে মাহতাব উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের নানা দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যে সম্মাননা পাচ্ছি, তা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য পাচ্ছি। তিনি না থাকলে হয়ত আমাদের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পালিয়ে বেড়াতে হতো।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কীতে আমরা পুরস্কার পেয়ে গর্বিত। আমাদের অধিকাংশের ছাত্রজীবন কাটে পাকিস্তানের আমলে । এবং যৌবনকাল কেটেছে পাকিস্তান আমলের অনেকাংশে। আমরা সেই সময়ে পাকিস্তানীদের অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম। যারা পাকিস্তানের শাসন আমল দেখেছেন তারাই এই স্বাধীনতার মর্ম বুঝতে পারবেন ।

আমরা বুঝতাম পাকিস্তানীদের অত্যাচার, শোষণ ,নিপীড়ন। আমরা লেখা পড়া করতাম আমাদের ভবিষ্যত কি, আমরা কিছুই জানতাম না। আমাদের ভবিষ্যত ছিলো অন্ধকার, এমন সময় আমাদের বঙ্গবন্ধু আমাদের ৬ দফা ঘোষণা দিলেন, ৬ দফার মধ্যে আমরা দেখি আমাদের সেই অন্ধকার কেটে যাবে । আমরা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ৬ দফার পক্ষে আন্দোলন করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা যুদ্ধ করেছি। আমাদের সেক্টর কমান্ডাররা আমাদেরকে বলেছেন তোমরা ঢাকায় থেকে যুদ্ধ করো, সরকারি স্থাপনা গুলো উড়িয়ে দাও। সরকারি প্রতিষ্ঠান উড়িয়ে দিলে বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা , আকাশবানীতে নিউজ হবে, নিউজ হওয়ার পর পাকিস্থানীদের মনোবল ভেঙ্গে যাবে। তারা রাজনৈতিক সমর্থন হারাবে। পাকিস্থানীরা যেখানে থাকে আমরা তখন বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা উড়িয়ে দিয়েছিলাম। মুখোশ পড়ে আমি (গাজী) আর মায়াসহ ৩ জন হামলা করেছি।