গরমের সময় শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা যেতে পারে—
তরলের জোগান
গরমে শিশুর শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে জলীয় পদার্থ বের হয়ে যায়। কিন্তু তারা সব সময় পিপাসার কথা বলতে পারে না। এ ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে বড়দেরই। এ সময় শিশুদের বারবার পানি খাওয়াতে হবে। ডাবের পানি, ফলের রসও দেওয়া যেতে পারে।
পরিচ্ছন্নতা
শিশুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে কেবল শিশুর শরীর পরিষ্কার রাখলেই চলবে না; পোশাকের পাশাপাশি নজর দিতে হবে তার চারদিকের পরিবেশের দিকেও। গরমের সময় বিভিন্ন কীটপতঙ্গ ও মশা-মাছি দেখা যায়। এগুলো থেকে শিশুকে রক্ষা করতে হবে।
পোশাক
শিশুর পোশাক হওয়া চাই আরামদায়ক ও হালকা।
শিশুকে এ সময় অবশ্যই সুতির নরম ও পাতলা পোশাক পরাতে হবে; যেন বাতাস সহজেই প্রবেশ করতে পারে।
রোদ ও বাতাস
অতিরিক্ত রোদে শিশুকে খেলতে বা দীর্ঘ সময় হাঁটাচলা করতে দেওয়া যাবে না। শিশুকে ঘুমাতে দেওয়া যাবে না সরাসরি তীব্র বাতাসের ফ্যান কিংবা এসির নিচে। এতে শিশু উল্টো অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
ঘামলে
শিশু ঘামলে তা যেন কোনোভাবেই শরীরে না শুকায়। এতে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। এ জন্য বারবার ঘাম মুছে দিতে হবে। শিশুর ত্বকে যেন ঘামাচি না ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।