সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রূপগঞ্জে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণসহ বহু মামলার আসামী সোলায়মান (৩৭) গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় তারাবো পৌরসভার কাউন্সিলর ও রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম মনির ও যুবলীগ নেতা শাহবাজ সহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের আসামী করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।
গন্ধর্বপুরে এলাকাবাসী এবং আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ৫ জুন শনিবার কাঞ্চন-রূপসী সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম , রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত হীরা, তারাব পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এড, জসিম উদ্দিন, তারাব পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি আওলাদ হোসেনসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সোলায়মান রূপগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলো। এমন কোনো অপরাধ নেই সে রূপগঞ্জে করে নাই। গত ১ জুন তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর নামাপাড়া এলাকায় দিন দুপুরে অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত ডাকাত প্রবেশ করেছে মর্মে মসজিদে মাইকিং করা হয়। এ সময় গ্রামবাসী ধাওয়া করে সোলায়মানকে জাপটে ধরে গণপিটুণি দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়। ঘটনাস্থল তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর নামাপাড়া এলাকায় হওয়া সত্ত্বেও ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, ২০ কিলোমিটার দূরে কাঞ্চনের ডিস ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ সানি, ১৭ কিলোমিটার দূরে সোনারগাঁও থানার পেরাবো এলাকার রুবেল সিকদার ও রূপগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সহ ২১ জনকে এ মামলায় আসামী করা হয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী সোলায়মান যুবলীগের কোন নেতা বা কর্মী না। একটি চক্র সোলায়মান হত্যা মামলাকে রাজনৈতিক মামলায় রূপ দিতে সোলায়মানকে যুবলীগ কর্মী বানিয়েছে। চক্রটি বর্তমান যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগকে বিতর্কীত করার জন্য যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম মনির, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শাহবাজকে হয়রানি করার জন্য তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। অবিলম্বে নিদোষ ব্যক্তিদের সোলায়মান হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত করে সোলায়মান হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিরাপরাধী রয়েছে।
উল্লেখ গত ১ জুন রূপগঞ্জের মাহমুদাবাদ এলাকার ছালাউদ্দিনের ছেলে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণসহ বহু মামলার আসামী সোলায়মানকে তারাবো পৌরসভার নামাপাড়া মসজিদের মাইকে ডাকাত প্রবেশ করেছে মর্মে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিলে সে নিহত হয়। তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় বেশ কিছু মামলা রয়েছে। তার মধ্যে হত্যা মামলা নং ৪২, তারিখ ২৩-০৩-২০১৭, হত্যা মামলা নং ২৪, তারিখ ১২-০৪-২০১৬, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা নং ০৬, তারিখ ০৪-০২-২০১৪, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা নং ৪৫, তারিখ ২৩-০৮-২০১৩, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং ৩৯, তারিখ ১২-০৫-২০১৯, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং ৭৮, তারিখ ২৪-০৪-২০১৯, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং ২০, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মামলা নং ৫২।