তাওসিফ মাইমুন: একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর গতকাল ছিল বিএনপি প্রার্থীদের জন্য সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিন জানিয়ে বিএনপির জেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, গতকাল ছিল সবচেয়ে ভায়োলেন্ট দিন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের টেক্কা দিয়ে পুলিশই সন্ত্রাসী আক্রমণে প্রাধান্যে থেকেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের প্রার্থীদের প্রচারণা ও সমাবেশে সবচেয়ে বেশী হামলার ঘটনা ঘটেছে গতকাল।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাযালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের গাড়িতে ভয়ঙ্কর হামলা করা হয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের ওপর গতকালও সশস্ত্র হামলা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনের উপর আবারও হামলা করা হয়েছে। ধানের শীষের প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরির উপর হামলা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। কিশোরগঞ্জে ধানের শীষর প্রার্থী মেজর (অবঃ) আক্তারুজ্জামান ও শরীফুল আলমের উপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি অপারেশনাল ইউনিটে নগদ অর্থ পৌঁছানো হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ভোটে আওয়ামী লীগের পক্ষে মাঠে কাজ করার জন্য ডিসি, এসপি থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যদের সরকারের পক্ষ থেকে প্রচুর নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, ভোটের ময়দান ফাঁকা করতেই ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকদের উপর সশস্ত্র হামলা চলছে। সারাদেশে ভীতিকর পরি¯ি’তি তৈরি হয়েছে। যারা মানুষকে নিরাপত্তা দিবে সে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীই মানুষকে নিরাপত্তাহীন করে তুলছে। সারাদেশে এখন ভয়ংকর আতঙ্কের নাম পুলিশ-র্যাব-বিজিবি। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছন সিইসিসহ কতিপয় কমিশনার।
কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট মারতে দলে দলে প্রস্ততি নিচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, গতকাল সাভারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমানুর রহমান ঘোষণা দিয়েছেন প্রতি কেন্দ্রে কেন্দ্রে তার ২০০ জন করে যুবক দরকার। নাটোরে নৌকার প্রার্থী শিমুল ঘোষণা করেছেন যারা নৌকায় ভোট দিবেন তারা কেন্দ্রে আসবেন যারা নৌকায় ভোট দিবেন না তাদের কেন্দ্র আসার দরকার নেই।
