আজ শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না’গঞ্জে গণেশ পূজা অনুষ্ঠিত

গণেশ পূজা

গণেশ পূজা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘটা করে নারায়ণগঞ্জের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের গণেশ পূজা।
রবিবার (১৫ এপ্রিল) ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নতি, ধন সম্পদ লাভ ও সুস্থ্য রোগমুক্ত ভাবে বসবাস করার জন্য সকাল থেকে শহরের বিভিন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন শুভকার্য, উৎসব ও অনুষ্ঠানের শুরুতে হিন্দুধর্মালম্বীদের মধ্যে গণেশের পূজা প্রচলিত আছে। অক্ষর ও জ্ঞানের দেবতা রূপে লেখার শুরুতেও গণেশকে আবাহন করা হয়। গণেশ হলেন হিন্দুধর্মের সর্বাধিক পরিচিত ও সর্বাধিক পূজিত দেবতাদের অন্যতম। তিনি গণপতি, পিল্লাইয়ার, বিঘেœশ্বর, বিনায়ক, গজপতি, একদন্ত ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
নারায়ণগঞ্জ শহরের হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন হোসিয়ারী, সুতা ও রং কেমিক্যালের গদীঘর, নিতাইগঞ্জের পাইকারি আড়ৎগুলোতে, বিভিন্ন গার্মেন্ট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গণেশের পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উকিলপাড়ার বাবু টেক্সটাইলের বাবু দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানান, বাংলা বছরের ১ তারিখে ঘটা করে আমরা গণেশ পুজা করা থাকি। ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে এই পুজার গুরুত্ব অনেক বেশি। ধন সম্পদ লাভ ও সুস্থ্য রোগ মুক্ত ভাবে বসবাস করার জন্যও এই পুজা করা হয়ে থাকে।
টানবাজারের ভিবজিউর ট্রেডার্সের জুয়েল সাহা দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানান, ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নতি, ধন সম্পদ লাভ ও সুস্থ্য রোগমুক্ত ভাবে বসবাস করার জন্য, সুখ, শান্তির জন্য প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে খুব ঘটা করে গণেশ পূজা করে থাকি।
ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে গণেশের মন্দির ও মূর্তি দেখা যায়। সব স্থানের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেই গণেশের পূজা প্রচলিত রয়েছে। গণেশ তাঁর বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য প্রসিদ্ধ। কিন্তু তাঁর হাতির মাথাটিই তাঁকে সর্বাধিক পরিচিতি দান করেছে। গণেশকে বিঘœনাশকারী, শিল্প ও বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক এবং বুদ্ধি ও জ্ঞানের দেবতা রূপে পূজা করা হয়।