গণমানুষের মুক্তির জন্যই বাকশাল প্রতিষ্ঠা:সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবুসাইয়িদ
নবকুমার:
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক শ্রমিকের কল্যাণ সহ গণমানুষের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ(বাকশাল) গঠন করেছিলো বলে জানিয়েছেন রণাঙ্গনের বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ড. অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
সাবেক পাবনা জেলা গভর্ণর বঙ্গবন্ধুর আজীবন আদর্শের সৈনিক আবু সাইয়িদ আজ বাকশালের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সম্পকে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে দৈনিক সংবাদচচাকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের স্বপ্ন ছিলো যে কৃষক শ্রমিক ও শোষিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।
বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক ,প্রশাসনিক,অথনৈতিক সিস্টেমের পরিবতন করে দুর্নীতি দমন করার জন্য প্রদক্ষেপ গ্রহন করেছিলেন আমলাতন্ত্রের অাধিপত্যকে খর্ব করে জনগণের অধিক জবাব দিহিতামূলক প্রশাসনিক শাসন ব্যবস্থা চালু করার লক্ষে ব্যবস্থা নিয়েছিলো ,জেলা গভণরদের হাতে ক্ষমতা দিয়েছিলেন।
করপদের সিস্টেমের মাধ্যমে দুনীতির সৃষ্টি হয় এ পদ্ধতিতে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয় তাই বঙ্গবন্ধু এ সিস্টেমের পরিবতন করেছিলেন।
বাকশালের চারটি লক্ষ ছিলো জাতীয় ঐক্য,দুর্নীতি রোধ,খেতে খামারে উৎপাদন বৃদ্ধি,জন্মনিয়ন্ত্রন।কৃষিতে আমল পরিবতনের জন্য সমবায় ভিত্তি আধুনিক চাষপদ্ধতির শুরু করেছিলেন ।
বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে দেশ ব্যাপক খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দিকে এগিয়ে যায় । আজ যেমন যেকোন কাজের জন্য ঢাকায় আসতে হয় বঙ্গবন্ধুর এ পদ্ধতি চালু থাকলে মানুষকে আর ঢাকা আসতে হত না। দেশের সব জেলাতেই জেলা গভণরদের মাধ্যমে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করা হত।
বঙ্গবন্ধু সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে বতমান মেয়াদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছে। কিন্তু দুনীতি দমন হয় নাই দুনীতির সিস্টেমের পরিবতন হয় নাই।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে সংবিধান পরবিতন করে পাকিস্থানী ধারার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে বাকশাল কে বিলুপ্ত করেছিলো ।
তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধুর এ সিস্টেম চালু থাকলে দেশ প্রশাসনিক,শিক্ষা, চিকিৎসা,অবকাঠামোর উন্নয়ন সহ গ্রাম অঞ্চলের মানুষ সব কাজের জন্য ঢাকা আসতে হত না।
বঙ্গবন্ধু জেলা গভর্ণর দের নিয়োগ দিয়ে তাদের হাতে সকল প্রকার ক্ষমতা হস্তন্তর করেছিলেন।

