কাশ্মীর ইস্যুতে সোমবার শুরু থেকেই সংসদ ছিল উত্তাল। এ দিন সংসদে ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে কাশ্মীর থেকে ভেঙে লাদাখকে আলাদা করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
সংসদে অমিত শাহের ঘোষণার পরই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিক্রিয়া। একদল এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন, আবার আরেক পক্ষ জানিয়েছেন নিন্দা।
সংসদে অমিত শাহের বক্তব্যের পরই বিরোধী নেতাদের হট্টগোল শুরু হয়ে যায়৷ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, ৩৭০ ধারা বিলোপের তীব্র নিন্দা করছি। এভাবে গণতন্ত্রকে খুন করলো বিজেপি৷
পিডিপি নেত্রী ও জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এই সিদ্ধান্তকে ’ভারতীয় সংবিধানের কালো দিন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিজেপির এই সিদ্ধান্ত বেআইনি ও অসাংবিধানিক।
এদিকে ৩৭০ ধারা বাতিলের নিন্দা জানিয়েছেন জেডিইউয়ের কেসি ত্যাগী। তিনি বলেন, জেডিইউ ৩৭০ ধারা বাতিল সমর্থন করে না।
গত সপ্তাহ থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অমরনাথের তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের দ্রুত রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। ওই ঘোষণার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যে।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মহেবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে নজরবন্দি করা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে আরও নেতাদের। উপত্যকার বেশ কিছু এলাকায় ইতোমধ্যেই জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এর জেরে, উপত্যকায় কী হতে চলেছে তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটলো।