নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসতে না পেরে অনেক প্রভাবশালী নেতা কোনঠাসা হয়ে পড়েন। অনেক কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা ও মহানগর নেতা, থানা-ইউনিয়ন নেতা একাধিক মামলায় কারাবন্ধী হয়েছেন। অনেকেই দল থেকে ছিটকে পড়েছেন। ২০১৪ সালে দলটি জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় ক্ষমতায় না থাকার আরও ৫ বছর যোগ হয়। সরকার পতনের আন্দোলন সংগ্রাম, হরতাল-অবরোধ, মানববন্ধন, মিটিং-মিছিল করে করে ২০১৭ সাল পার করেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানার জালে আটকা। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলাসহ বহু মামলার আসামী। বর্তমানে তিনি কারাবন্ধী রয়েছেন।
টেলিভিশনের টক শো থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার চা’য়ের দোকানে আলোচনার ঝড় দল গোছানোর। প্রায় ১০ বছর ধরে ক্ষমতা হারানো দলের অনেক নেতাই পদ-পদবীর বলয়ে কমিটি ভাঙ্গা-গড়ার ইস্যুতে বেশ কামিয়ে নিচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের মাহফুজুর রহমান মাহাফুজ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া করেন। সে বিদ্যা পিঠ থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন।তবে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লেও তিনি নিজ এলাকায় দলের কোন পদ-পদবীতে বিগত দিনে স্থান পান নি। ঢাকার অনেক প্রভাবশালী ছাত্রদল নেতাদের আশপাশে থাকতে থাকতে পেয়ে যান ছাত্রাবাসের ছোট দায়িত্ব। ছাত্রবাসে থাকার কারণে বিভিন্ন ছাত্রদল নেতাদের সাথে ছবি ও সেলফি পোষ্ট ও নিজ এলাকায় দেখাতে দেখাতে মাহাফুজুর রহমান মাহাফুজ নিজ আলাকায় কথিত প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিতি পেতে থাকেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ রূপগঞ্জ উপজেলায় তার নেতৃত্বে কোন মিটিং মিছিল করতে পারেন নি। তিনি দলীয় ইস্যুতে কোন মামলার শিকার হন নি।
সাম্প্রতিক সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠন হয়েছে। সে কমিটিতে রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সুহেল মিয়া জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক পদ পেয়েছেন। তবে উপজেলার ছাত্রদলের অনেক নেতা চমক পেয়েছেন। মাহাফুজুর রহমান মাহাফুজের অনুসারীরা প্রচার করতে শুরু করেন সুহেল মিয়ার পদ মাহাফুজুর রহমান মাহাফুজ এনে দিয়েছেন।
তবে অনেকেই বলছেন, সুহেল মিয়া জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক পদ পেয়েছেন। তিনি ইউনিয়নের নেতা হওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন বিগত দিনে। সফলতা পান নি। আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন সুহেল মিয়া জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনি পদ পেয়ে। এতেই থানা ছাত্রদলের বহু ত্যাগী নেতারা দলের বাহিরে চলে যাচ্ছেন।
এ খবর বিভিন্ন স্থানে প্রচার হওয়ায় এখন অনেকেই মাহফুজুর রহমান মাহাফুজের সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করছে। মাহাফুজুর রহমান মাহাফুজ এখন কমিটিতে যাকে খুঁশি তাকে দিতে পারেন এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ছে। রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদলের কমিটি পেতে অনেকেই এখন মাহাফুজুর রহমান মাহাফুজের সাথে যোগাযোগ করছেন বিভিন্ন উপঠোন নিয়ে।
মাহফুজুর রহমান মাহাফুজের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে নারাজ। তবে তিনি জানা থানা কমিটি দেয়ার এক্তিয়ার রয়েছে জেলা কমিটির। আমি ঢাকার রাজনীতি করি। আমি বাংলাদেশ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। থানা ছাত্রদলের কমিটিতে কে আসল কে গেল সেটা দেখার আরও অনেকেই আছেন। আমি চাই দলের স্বার্থে কাজ করতে। ছাত্রদলের কমিটিতে ত্যাগী নেতারা স্থান পাবে এটাই স্বাভাবিক।