আজ শুক্রবার, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কুড়িগ্রামে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি ধীর গতিতে হ্রাস পাচ্ছে। চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে।

সরকারি তথ্যানুযায়ী জেলার ৯ উপজেলায় ৬০ ইউনিয়নের ৮শ ২০টি গ্রামের ৪ লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বানভাসী মানুষেরা গত ৫ দিন ধরে ঘর-বাড়ি ছেড়ে গবাদি পশুসহ আশ্রয় নিয়েছে পাকা সড়ক, উচু বাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বন্যা দুর্গত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয়ায় দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে বানভাসীদের।

গত চার দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ১১ জন ও সাপের কামড়ে ১ জনসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই শিশু।

কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়ক তলিয়ে চারটি পয়েন্টে ধসে যাওয়ার এখনো বন্ধ রয়েছে সোনাহাট স্থল বন্দরসহ নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা।

৪৩৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে থাকায় বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। তলিয়ে গেছে ৫০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন সবজি ক্ষেত।

জেলা মৎসসম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, বন্যার পানিতে ভেসে গেছে জেলার ৮ হাজার পুকুরের প্রায় ১২ কোটি টাকার মাছ।