ব্যবস্থা নেয়া হবে : এডিসি মাসুম বিল্লাহ
নিজস্ব সংবাদদাতা:
বিধি নিষেধকে অপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের খিলমাকের্ট এলাকায় অবস্থিত ৬০ নং গোয়ালবন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং খুলে বসেছে তিন শিক্ষক। এজন্য প্রতি জনের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৪ থেকে ৫শ’ টাকা করে। একাধিক অভিভাবক বলছেন, টাকার বিনিময়ে কিছু শিক্ষার্থীকে কোচিং করালে অন্যদের সাথে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়। এতে যারা টাকা দিয়ে কোচিং করতে না পারেন তারা মনোকষ্টেও ভুগেন। তবে কোচিং পরিচালনাকারী শিক্ষকরা দাবি করছে, বিষয়টি স্কুল কমিটির সভাপতি ও শিক্ষা অফিসারও জানেন।
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পর থেকে বলে আসছেন, শিক্ষকগণ যে স্কুলে শিক্ষা প্রদান করেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন ছাত্র ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবে না।
কাশিপুর এলাকার স্থানীয়বাসিন্দা জনান, খিলমাকের্ট ৬০ নং গোয়ালবন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মাহমুদা আকতার যোগদানের পর থেকে এ কোচিং চলছে। কিন্তু এর আগেও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আসলেও কোন ব্যবস্থা হয়নি। পঞ্চম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী এখানে কোচিং করি। এর জন্য আমাদেরকে ৫শ’ টাকা করে দিতে হয়। তবে আমাদের ক্লাসের অনেকে টাকার জন্য কোচিং করতে পারে না। যারা করেন তাদের মধ্যে অনেকে কষ্ট করে টাকা দেন। তার পাশেই আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের নিকট ৫শ’ টাকা নিলেও ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪শ’ টাকা করে নেন। এখানেও ৬০ থেকে ৭০ জনের মত শিক্ষার্থী কোচিংয়ে করতে আসেন। আর এই কোচিং আমাদের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা আকতার, রুবিনা আক্তার এবং কলি আক্তার সহ ৪ জন কোচিংয়ে পড়ান। আমাদেরকে সকালেও আবার কোচিং করতে হয়। তখন টাকা নেয় না।
খিলমাকের্ট ৬০ নং গোয়ালবন্দ প্রাথমিক বিদ্যালরে সহকারি শিক্ষক কলি আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, হ্যা এখানে কোচিং করানো হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, আমাদের এ কোচিং করানোর জন্য কারো কাছ থেকে ৫শ’ আবার কারো নিকট থেকে ৩শ’ থেকে ৪শ টাকা নেয়া হয়। তবে এ কোচিংয়ের ব্যাপারে স্কুল কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান সহ সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসার জানেন। আমিসহ আরো ৩ জন এই ব্যাচ পড়াই। তবে আমরা সকলা বেলায় টাকা ছাড়াও পড়াই।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা কোচিংয়ের ব্যাপারে খুব সতর্ক। এর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।