গত কয়েকবছর ধরে স্থানীয়রা কেবল শুনেই যাচ্ছেন রাস্তার উন্নয়ন হচ্ছে। শীতের মৌসুমে কুয়াশাচ্ছন্ন ধুলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে কাদাপানিতে ভরপুর জালকুঁড়ির ঝুটপট্টি সড়ক। খানাখন্দের কারনে সড়ক হয়ে পড়েছে চলাচলের অনুপযুক্ত। কেবল ট্রাক আর সাইকেলই এই সড়কে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। বাকি সব যানবাহন মাঝপথে গিয়েই আটকে যাবে কাদাপানির অন্তরালে। তবে চলছে সড়কের সংস্কার কাজ। কিন্তু কবে নাগাদ সম্পন্ন হবে তা জানেন না কেউই।
সরজমিনে দেখা যায়, জালকুড়ি মোড় থেকে পূর্ব দিকে নেমে বা দিক গেলেই দেখা মিলবে সড়কের এমন করুণ চিত্র। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি জালকুড়ি এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ন সড়ক। ট্রাকের চাকার দাগ আর খানাখন্দে জমে আছে কাদাপানি। প্রাইভেটকার, সিএনজি রাস্তার সামনে এসেই দাঁড়িয়ে যায়। আরোহীদের নেমে গন্তব্যে পৌঁছুতে হয় পায়ে হেটে। কারন গাড়ি নিয়ে কিছুদূর সামনে গেলেই কাদায় আটকে যাবে চাকা। আর সেই ঝুঁকি নিতে চান না কেউই।
স্থানীয় মুদি দোকানে কালাম মিয়া বলেন, কয়েকবছর ধইরা তো খালি দেখতাছি কামই করে। একবার সেনাবাহিনী আইসা খাল ঠিকঠাক করলো। পানির লাইন ঠিক হইলেই নাকি রাস্তা ঠিক কইরা দিব। কিন্তু খাল বানাইলেও রাস্তা আর হয়নাই। সেই খাল আবার একটু একটু কইরা ভরতাছে এলাকার লোকজন। এই রাস্তার কারনে মানুষও দোকানে আইতে চায় না। শুকনার সময় ধুলাবালিতে আন্ধার হইয়া যায়, আর এখন বর্ষার কালে কাদাপানি ভইরা গেছে। কবে রাস্তা ঠিক হইব কাউন্সিলর জানে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাস্তাটি বর্তমানে নির্মানাধীন অবস্থায় রয়েছে। এলাকাটি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ডের আওতায়। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার সকল সমস্যা নিরসনের দায়িত্ব কাউন্সিলররের। কিন্তু তিনিও তেমন খোঁজ নেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ তার নিজ কার্যালয়ের একদম কাছেই রাস্তাটি অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা ভোগান্তির শিকার হয়ে এলেও উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে শুনেই চুপ থাকতে হচ্ছে তাদের।
সড়কের কাজে নিয়োজিত কর্মচারীরা জানান, আপাতত সড়কের পাশে বর্ডার দেয়াল তোলা হচ্ছে। আরসিসি ঢালাই হবে খুব সম্ভবত। এখন মাটি সমান করার কাজ চলছে। বর্ষার কারনে কাজ একটু দেরীতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা নয় সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধানের সাথে। তবে তার নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।