সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম পাশে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর অবৈধভাবে দখল করে ড্রেজার বসিয়ে বালুর ব্যবসা পরিচালনা করছে প্রভাবশালীরা। এ কারণে বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের ধাক্কায় নবনির্মিত কাঁচপুর সেতুর পিলারের মাটি সরে গিয়ে সেতুটি হুমকির মুখে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সোমবার সরেজমিনে কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম পাশে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচপুর সেতুর দক্ষিণ দিকে সেতুটি ঘেঁষে ড্রেজার বসিয়ে বালু ব্যবসা পরিচালনা করছেন নাসিক ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম। এসব বালু ট্রাকের মাধ্যমে আশপাশের এলাকায় বিক্রি করছেন তিনি।
কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম পাশে শীতলক্ষ্যা নদীর তীঁর দখল করে অবৈধ বালু ব্যবসা পরিচালনা করা হলেও অবৈধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় প্রশাসন।
ড্রেজার ও বালুর গদির লোকজন এলাকায় প্রচার করছেন বিআইডব্লিউটিএর লোকজনকে ম্যানেজ করেই এ অবৈধ বালুর ব্যবসা করছেন কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের সওজের কার্যালয় থেকে মাত্র ৫০০ গজ দূরে সেতুর নিচে অবৈধ বালু ব্যবসা পরিচালনা করা হলেও সওজ কর্মকর্তাদের কোনো মাথাব্যথ্যা নেই।
আব্দুল হাই নামের এক ব্যক্তি বলেন, সেতুসংলগ্ন ড্রেজার বসিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার কারণে ড্রেজার ও বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুর পিলারের মাটি সরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে নবনির্মিত সেতুটি যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে।
এদিকে কাঁচপুর সেতুর এতটা কাছাকাছি ড্রেজার দিয়ে বোলগেট থেকে বালু উঠানাম করানো সেতুর জন্য ঝুকিপূর্ণ কিনা জনতে চাইলে কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের ছেলে ইসমাইল ইসলাম লিয়ন বলেন, আপনি কোন ড্রেজারের কথা বলছেন। সেখানে ৪-৫টি ড্রেজার রয়েছে। আরা আমি বা আমার বাবা সেখানে কোন বালুমহাল বা ড্রেজার ব্যবসার সাথে জড়িত নই।
তবে ড্রেজার ব্যবসার অনুমোদন আছে কিনা জানতে কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু ব্যবসা করি অনুমোদন তো থাকবেই।
অনুমোদনটি বালু মহাল ইজারা নাকি সেতু সংলগ্ন এলাকায় ড্রেজার পরিচালনার জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটি কাগজপত্র দেখে বলতে হবে। এরপর তিনি নিজে থেকেই ফোন রেখে দেন।