সংবাদচর্চা রিপোর্ট
রং যত ভাল হয় দাম তত বেশি হয়। হলদে রং দেখে পাকা ভেবে ধোকা খাচ্ছেন কলা ক্রেতারা। খেতে গেলে দেখা যায় কলার ভেতরে কাঁচা ও গোটা গোটা আধা পাকা। পাকা ভেবে বিশ্বাস করে খেতে গিয়ে ধোকা খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জের কালির বাজার চারারগোপ এলাকায় দিনের ১২ টা থেকে ৪ সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাক যোগে আসা কলা ছড়াকে নামাতে ব্যস্ত সময় পার করেন শ্রমিকরা। ট্রাক থেকে কলার ছড়া গুলোকে আড়ৎ নিয়ে যাওয়া হয়।
এসকল কলার অধিকাংশই পাকার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ফরমালিন দিয়ে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। আগের দিন আড়ৎ গুলোতে কাচা কলা রাখা হলে পরের দিন সকাল থেকেই হলদে রঙের কলা বিক্রি করা হচ্ছে ক্রেতাদের কাছ। তাহলে আগের দিন আমদানি করা ট্রাক ভর্তি কলা আড়ৎ যাওয়ার পর একরাতে পেকে যায়! এমন প্রশ্ন নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহলের। আড়ৎ গুলোতে মজুত করা কলা প্রতিদিন সকাল থেকেই পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা ক্রয় করে আড়ৎ থেকে ।
মুদি ও চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান গুলোতে হলদে রঙের পাকা কলা বিক্রি করতে দেখা যায়। ক্রেতারা হলুদে রঙের ও সুস্বাদু মনে করে ক্রয় করেন। কিন্তু খেতে গেলে দেখা যায় কলা-কাঁচা।
চাষাঢ়া এলাকার কলা ক্রেতা জসিম মিয়া জানান, বিভিন্ন কলা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কলা ক্রয় করি কিন্তু দুঃখ হলো এতো দাম দিয়ে কলা কেনার পরও ধোকা খেতে হচ্ছে। কলার বাহিরের রং পাকা আর ভিতরের রং কাঁচা।
২ নং গেইট এলাকার থেকে কলা ক্রয় করা ক্রেতা লিপি বেগম জানান, প্রতি হালি কলা ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা করে নিচ্ছে। আমরা যে কলার রং ভাল সেটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করি কিন্তু বাসায় নিয়ে খাওয়ার সময় দেখি ভেতরে এক আর বাহিরে আরেক।
একাধিক খুচরা বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে একটাই জবাব আমরা কি কলার ভিতরে গেছি। আমরা ও হলদে রং দেখে কলা ক্রয় করি। তবে আড়ৎ মালিদের দাবি গরমের মধ্যে রেখে কলা পাকানো হয়।
নারায়ণগঞ্জের নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা আড়ৎ গুলোতে কাচাঁ কলা কিভাবে রাতের আধারে পাকা হয়ে যায় সে কারন গুলো খুজে যথাযথ নেয়া।