বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেছেন, করোনাভাইরাসে চীনের নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হলেও এটি চীনের একক সমস্যা নয়। এটি বৈশ্বিক সমস্যা । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জরি করেছে। তাই এই ভাইরাসের ভয়াবহতা থেকে সারাবিশ্বের মানুষকে রক্ষা করতে হলে সব দেশকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন । বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চীনের অবদান ১৬ শতাংশ। তাই চীনের অর্থনীতিতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়লে তা সারাবিশ্বের অর্থনীতিতেই প্রভাব ফেলে। এর আগে ২০০৩ সালেও চীনে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। তারা খুব দ্রুত সে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। একইভাবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিও তারা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে বলে আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় চীন সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। তারা এই ভাইরাস মোকাবিলায় শুরু থেকেই সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে তারা এক হাজার বেডের পূর্ণাঙ্গ একটি হাসপাতাল নির্মাণ করেছে।
পাপ্পা বলেন, অতীতেও চীন এ রকম সমস্যায় পড়েছিলো । পরে তারা অর্থনীতিতে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল। আমরা আশা করি, এই ভাইরাস মোকাবিলা করেও তারা একইভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবে। আমরাও আমদানি-রফতানির পুশিয়ে নিতে পারব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বাংলাদেশে চীনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর লিউ ঝিহুয়া, বিসিসিসিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান মৃধা বেনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মুধাসহ বাংলাদেশে চীন দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বারের পক্ষ থেকে চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে মাস্ক তুলে দেন চেম্বার সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা।
তিনি বলেন, হুবেই প্রদেশ থেকে আমদানি কিছুটা কমলেও অন্য প্রদেশগুলো থেকে আমদানি চলছে। একটি প্রদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের কারণে সার্বিকভাবে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য খুব একটা বাধাগ্রস্ত হবে না।