আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কবে আন্দোলনে নামবে বিএনপি?

  • আন্দোলন সংগ্রামে না’গঞ্জ বিএনপি সব সময় প্রস্তুত -মামুন মাহমুদ
  • জাতীয় কর্মসূচি পালনে আমরা প্রস্তুত আছি-সাখাওয়াত

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি দীর্ঘদিন। পবিত্র মাহে রজমানে বিভিন্ন ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হয়ে নেতারা তাদের তুখোড় বক্তব্যে বলেছিলেন ঈদ-উল-ফিতরের পর কঠোর আন্দোলনে নামবে বিএনপি। ঈদ শেষ হয়ে আবারও কর্ম ব্যস্ততায় ব্যস্ত হয়ে উঠছে নগরী ও নগরীর মানুষ। কিন্তু কথা অনুযায়ী নিজেদের মাঠে নামার প্রস্তুতি আদৌও কতটুকু সফল হবে তা নিয়েই প্রশ্ন জনমনে।

জানা যায়, ঈদের পরেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তবে পুলিশী হামলা মামলায় আন্দোলনে দলীয় নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিয়ে রীতিমত সন্দিহান দলের শীর্ষ নেতারাই। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার লড়াইয়ে সফল হয়নি তার দল। বিএনপির শীর্ষ নেতারা এই ব্যর্থতার দায় স্বীকারও করছেন। বলছেন, নেত্রীর মুক্তির জন্য আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি নতুন উদ্যোমে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অবশ্য তাকে মুক্ত করতে রাজপথে ‘জোরদার আন্দোলন করতে না দেওয়ার’ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার অভিযোগও করছেন বিএনপি নেতারা। খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেও বলে আসছেন তারা। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির একাধীক নেতাকর্মীরা বলেন, ‘নেত্রীর মুক্তির দাবিতে রাজপথে জোরদার আন্দোলন আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। অতীতের ভুল-ত্রুটি পুনর্মূল্যায়ন করে নতুন উদ্যোমে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে নেত্রীর মুক্তির জন্য। তবে খালেদা জিয়া আজকে জেলে এজন্য শুধু বিএনপি ব্যর্থ তা বলা যাবে না। এটা দেশ, দেশের রাজনীতি ও সরকারের ব্যর্থতা।

ঈদ উল ফিতরের আগে গত ২৮ মে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছিলেন, আজ যদি দেশের নেতারা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মত কৃষকদের সুখে দুঃখে পাশে থেকে কাজ করতো তবে আজ কৃষকদের ধানের ক্ষেত্রে আগুন দিতে হতো না। যেভাবে তিনি খাল খনন কর্মসূচী গ্রহণ করেছিলেন সেসব অব্যাহত থাকলে দেশ মরুভূমিতে পরিণত হতো না। যার হাত ধরে এদেশের মানুষ গণতন্ত্রের মুক্তি চায় তাকেই আজ কারাবন্দি করে রেখেছে। যদি ঈদের পূর্বেই নেত্রীকে মুক্তি না দেয়া হয় তবে ঈদের পরে সর্বস্ত মানুষকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আপনারা শ্রমিক দল, যুবদল, ছাত্রদল সহ সকলে সেই আন্দোলনে শরিক হবার প্রস্তুতি নিন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি সব সময় প্রস্তুত। অতীতেও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে গিয়ে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মামলা হামলার শিকার হয়েছে। এটা দিনের আলোর মতো স্বচ্ছ।

মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখওয়াত হোসেন খান বলেন, জাতীয় ভাবে আমাদের কর্মসূচি দেওয়া হবে। আমরা কর্মীরা প্রস্তুত আছি, কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবো।

পুলিশ প্রশাসনের বাধাগ্রস্থ হলে আপনা কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক অধিকার থেকে আমরা কর্মসূচি পালন করবো এতে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করি বাধা নয়।

এদিকে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিলেন। তারা কোন ঐক্যমতে পৌছাতে পারে নি।