সংবাদচর্চা রিপোর্ট
এখন সভা সমাবেশে অতিথি হিসেবে বরণ করা হয় তাদের। আছেন নানা কমিটিতে। প্রশাসনের সাথেও উঠবস করতে দেখা যায়। হাজারো অনুগতদের কাছে তারা খুব জনপ্রিয় নেতা বটে। তবে এক সময়ে তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেয়া হতো। বিভিন্ন সময়ে কেউ একে ৪৭ নিয়ে আলোচিত হয়েছিলেন, আবার কেউ পিস্তলসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। কেউবা চাঁদাবাজির অভিযোগে পদ খুঁইয়েছেন। সেই তারাই এখন নেতা হিসেবে পরিচিত। তবে এইসব নেতার অনুসারীরা বলছেন, বিএনপি জোট সরকারের আমলে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তারা।
মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু কে তার অনুগতরা ক্লিনম্যান হিসেবেই জাহির করে। রাজনীতি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের অনুষ্ঠানেও তাকে দেখা যায়। তবে এই সাজনুই অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলো। তবে সাজনু বরাবরই বলে আসছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছিলেন।
মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম এখন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক। ইদানিং তাকে ফেসবুকে নীতি কথার স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়। তার অনুগতদের দাবি, তিনি অত্যন্ত সজ্জন ও বিনয়ী রাজনীতিক। যদিও চলতি বছর ২৬ মার্চ একটি বক্তব্যের জের ধরে ২৯ মার্চ এই নেতার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করে তৎকালিন ওসি মঞ্জুর কাদের।
মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলালের রাজনীতি শুরু হয় সরকারী তোলারাম কলেজ সংসদ দিয়ে। তবে এক সময়ে সন্ত্রাসী হিসেবেই আখ্যা দেয়া হতো তাকে। ড্রেজারের টেন্ডার নিয়ে সংগঠিত সংঘর্ষে একটি খুনের মামলার আসামীও তিনি। এ বিষয়ে জাকিরুল আলম হেলাল সংবাদচর্চাকে জানান, যারা রাজনীতি করে ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধেই পুলিশ আঙ্গুল তুলেছে। যারা ছাত্রলীগ করে প্রকৃতভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আসে তারা কখনও কোন অন্যায় পথ বেছে নেয়না বলে দাবি করেন এই নেতা। তবে বিভিন্ন সময়ে তারা ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছেন বলে দাবি তার।
মীর সোহেল আলী একসময় বিএনপির রাজনীতি করলেও এখন আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদ তার দখলে। তিনি একাধারে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি সেই সাথে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। শামীম ওসমানের অনুগত হলেও ৯ম সংসদ নির্বাচনের সময়ে একাধিকবার এদিক সেদিক করেছে। ওই সময়ে তিনি একবার কবরী, পরে শামীম বলয় ফের কবরী আবার শামীম ওসমানের অনুগত হন। সূত্র মতে, কবরীর পিএস সেন্টুর সাথে থেকে ওই সময়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে সে। দাপা বালুরঘাটে ৪ দোকানে তালা মারার থানা যুবলীগের পদও হারান সোহেল। পরে শামীম বলয়ে ফিরে ফের পদ হাসিল করেন। এ বিষয়ে মীর সোহেল আলী বলেন, আমাদের হাজার হাজার কর্মী তারা যদি কোন ভুল করে তার দায়ভার আমাদের উপর আসে। যেমন আমরা কিছু করলে শামীম ওসমানের উপর যায়। তবে আওয়ামীলীগের নেতারা এখন ভালো হতে চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিভিন্ন পদে থাকা এই চারনেতাই শামীম ওসমান অনুগত হিসেবে পরিচিত। তাদের অনুসারীদের দাবি, শামীম ওসমান ও আওয়ামীলীগের রাজনীতি করায় তারা ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের পেছনে লেগে থাকে। দলের মধ্যেও ঘাপটি মেরে থাকা এক শ্রেনীর লোক তাদের বেকায়দায় ফেলতে চায় সব সময়। অনুগতদের দাবি, তাদের নেতারা অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। তবে শামীম সমর্থকরা বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শের সৈনিক। তারা রাজপথে বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে।