নিজস্ব প্রতিবেদক:
ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি বলেছেন,ত্বকী হত্যার মধ্য দিয়ে ওসমান পরিবার বাংলাদেশে খুনি পরিবার হিসেবে পরিচিত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাবে যে কথাটি বলতে চাই ১৯৭১ সালে এই বাংলাদেশের জন্যে মুক্তির সংগ্রাম করিনি। যে বাংলাদেশে জনগণের কোন অধিকার থাকে না। বাঁচার কোন নিশ্চয়তা থাকে না, সে বাংলাদেশ আমার না। শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধারাও নির্যাতিত হবে এমন দেশ আমরা চাইনি।
ত্বকী হত্যার আসামীদের বিচারের আওতায় না এনে,সরকার তাদের সমর্থন করে। এমনটা আমরা তাদের কাছে আসা করিনা। সামনে নির্বাচন আসছে, ব্রিজ কালর্ভাটের উন্নয়নের বুলিতে জনগনের মন না ভুলিয়ে জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার সচেষ্ট হবে এটাই আমাদের আশা।
মঙ্গলবার (৮মে) সন্ধ্যায় শহরের আলি আহমদ চুনকা পাঠাগার প্রাঙ্গনে ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট কর্তৃক আয়োজিত প্রতিবাদি মোমশিখা প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে এসব বলেন সন্ত্রাস নির্মুল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি।
তিনি আরো বলেন , আজ পাঁচ বছর দুই মাস ধরে সাংস্কৃতিক জোট ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে এই মোমশিখা প্রজ্জ্বলনের আয়োজন করছে। ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও ত্বকী হত্যার বিচার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। এইটি বাংলাদেশে চলমান বিচার হীনতার যে সংস্কৃতি তার বহিঃপ্রকাশ।
আজকে বিচারহীনতা বিচারি ব্যবস্থার উপরে অধিষ্টিত হয়েছে। সরকার অপরাধিদের পক্ষ নিচ্ছে। কেবল ত্বকী হত্যাই নয়, সাংবাদিক সাগর রুনি, তনু সহ অন্যান্য অনেক হত্যাতান্ডের বিচারই আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছে না। আজকে এই মঞ্চ থেকে ত্বকী হত্যার আগে ও পরে নারায়নগঞ্জে তথা বাংলাদেশে যে সকল হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে তাদের বিচারের আমরা দাবি জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও জুয়েলের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ধীমান সাহা জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীতপরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. সারোয়ার আলী,বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাশ,গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন ,নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।