আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ওদের ভয় কেটে গেছে!

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ 
জেলায় প্রতিদিনই উদ্যেগজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। তবুও যেনো দিন দিন অসচেতন হয়ে উঠছে সাধারন মানুষ। অনেকে ভুলেই গেছে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলাচলের কথা। কারও কারও মুখে মাস্ক নেই। অন্যদিকে শহরের মার্কেট গুলোর ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেখলে মনে হবে করোনা হয়তো চলেই গেছে! কারও মধ্যে নেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়।

জানা যায়, লকডাউন শিথিল করে শর্তসাপেক্ষে মার্কেট খোলার অনুমতি দিয়েছিলো সরকার। এই সিদ্ধান্তের পর পরেই শহরের বিভিন্ন মার্কেট খোলা শুরু হয়। যদিও গত ঈদের আগে জেলার বেশকিছু বড়ো মার্কেট বন্ধই ছিলো। তবে সেগুলোও ঈদের পর খুলছে। কিন্তু ছোট বড় প্রাই সব মর্কেটেই সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। সাধারণ দোকানপাটেও মানুষ একে অন্যের সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে কেনাকাটা করছেন। রাস্তাঘাট সবখানেই সামাজিক দূরত্বের কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। অথচ জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিনিয়তই চিকিৎসকরা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে তাগিদ দিচ্ছেন। তবে কে মানে কার কথা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের ছোট-বড়ে প্রায় সকল মার্কেটের সামনেই আছে জীবানুনাষক স্প্রের ব্যবস্থা। তবে এইসব স্প্রের ভিতর দিয়ে অনেকেই প্রবেশ করে না। অন্যদিকে শহরের বেশকিছু মার্কেটে ঘুরে দেখা যায় ক্রেতারা একে অন্যের সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে কেনাকাটা করছেন। কোথাও কোথাও ক্রেতা-বিত্রেতা হ্যান্ডশেক এবং কোলাকোলিও করতে দেখা গেছে। এছাড়াও কালিরবাজারের ফ্রেন্স মার্কেটের সামনের রাস্তা থেকে শুরু করে মার্কেটের ভিতরের চিত্র অন্যসব মার্কেটের থেকে ভিন্ন। এই মার্কেটে সব সময়ই ক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকে।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, আমরা এখনো ঝুকিতে রয়েছি। সংক্রমন ঠেকাতে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা অতি প্রয়োজন। শহরের ছোট-বড় সকল বাজার, শপিংমল, গনপরিবহন সহ ঝুকিপূন্ন সকল স্থানেই নিজেদের সচেতন হয়ে চলতে হবে। নয়তো আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।