আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ওই তিন ভাইবোনকে ধরলেই হ্রাস পাবে মাদক

অপরাধ প্রতিবেদক, সংবাদচর্চা।
নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম প্রধান সমস্যা মাদক। এই সমস্যা সমাধানে প্রতিনিয়তই কাজ করছে জেলার পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নির্দেশে প্রতিনিয়তই মাদক বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জেলায় প্রত্যেকটি থানায় দায়িত্বরত প্রশাসন নির্বিঘ্নে কাজ করছেন। তাহলে মাদক কমছে না কেনো? এমন প্রশ্ন নগরীর সচেতন মহলের লোকজনের।

তাদের এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময়ধরে অনুসন্ধানে আছেন সংবাদচর্চার অপরাধ প্রতিবেদকগন। সে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য।

প্রশাসনের লোকজন প্রতিনিয়ত যাদের মাদকদ্রব্যসহ আটক করছে তারা হয়তো খুচরা কিংবা ছোট খাটো ব্যবসায়ী। জেলার ৭টি থানায় কমবেশি সব জায়গাতেই মাদক বিক্রেতা রয়েছে। তাদের কাছে এগুলো পৌছে দিচ্ছে কারা বা তারা মাদক সংগ্রহ করছে কিভাবে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার প্রত্যেকটি থানা, ইউনিয়ন কিংবা ওয়ার্ড পর্যায়ে যারা মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে থাকে তারাই ধরা ছোয়ার বাইরে। আবার প্রশাসনের কাছে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্তি নিয়ে ফের একই কাজ করেন তারা। শহরের শীর্ষ মাদক বিক্রেতাদের মধ্যে খোঁজ পাওয়া গেছে তিন ভাই বোনের। তারা হলো মোক্কার সন্তান রুমি, খাদেম ও ফজর আলী। এদের মধ্যে রুমি সব জায়গাতে সরবরাহ করে গাজা, খাদেম হেরোইন আর ফজর আলী ইয়াবা। তাদের প্রত্যেকের নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। গাজা বিক্রেতা রুমির স্বামী লেবু কিছুদিন পূর্বেও রাজধানীর মিন্টু রোড থেকে নিজস্ব কভার্ড ভ্যান ভর্তি গাজা সহ ডিবির কাছে গ্রেপ্তার হয়েছিলো।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, এই মাদক ব্যবসায়ী পরিবার অন্তত ১০ কোটি টাকার মালিক। তাদের নিজস্ব মালিকানাধীন ৫টি হায়েস গাড়ি আছে, আছে তিনটি কভার্ড ভ্যান। রুমি থাকে নতুন কোর্ট এলাকায়, খাদেম আর ফজর আরী বন্দর থাকলেও নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করে তারা মাদক বিক্রি সরবরাহ করে শহরের বিভিন্ন এলাকায়।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের সাথে কথা হয় সংবাদচর্চার প্রতিবেদকদের। এসপি জানান, মাদকের সাথে জড়িত এমন কাউকেই আমরা ছাড় দেবো না। শুধুমাত্র চানমারী মাদক স্পট নয় শহরের যে জায়গাগুলোতে মাদকের লেনদেন চলে আমরা সব জায়গতেই অভিযান পরিচালনা করবো। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে খুচরা আর বড় মাদক ব্যবসায়ী নেই যারা এসকল কর্মকান্ডে সাথে জড়িত থাকবে তাদেরকেই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলায় হয় আমি থাকবো না হয় মাদক থাকবে।