আজ রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এরদোয়ানের টেলিফোন সু চিকে

 

রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম নিপীড়নের জেরে সৃষ্ট মানবিক সংকট নিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির প্রধান ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। মঙ্গলবার টেলিফোনে তিনি সু চির সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের অফিস বলছে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন বৃদ্ধি বিশ্ব এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুই দেশের এ দুই রাষ্ট্র নেতা চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে মানবিক ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ সম্পর্কেও আলোচনা করেন।

টেলিফোনে নিরপরাধ বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অভিযান ও সহিংসতার নিন্দা জানান এরদোয়ান। তিনি বলেন, রাখাইনের ঘটনা গুরুতর মানবিক সংকটে রূপ নিয়েছে, যা জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট রাখাইনে নিরপরাধ মানুষের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে সু চিকে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বেসামরিকদের সুরক্ষায় গুরুতর সংবেদনশীলতা দেখানোর আহ্বান জানান এরদোয়ান।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে টেলিফোনে সু চিকে জানান এরদোয়ান। মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো সরকারের প্রধান সু চি দেশটির প্রধানমন্ত্রী সমমর্যাদার।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানে নারী, শিশুসহ এখন পর্যন্ত এক লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস ও অত্যধিক বলপ্রয়োগের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিনের সহিংসতায় রাখাইনে অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গার প্রাণহানি ঘটেছে।