নবকুমার:
গোলাম দস্তগীর গাজী বাংলাদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম । তিনি বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। যুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারত এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে তাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করে। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। গোলাম দস্তগীর গাজীর পদচারণায় বদলে গেছে রূপগঞ্জের উন্নয়ন চিত্র। বর্তমান সরকার রূপগঞ্জের উন্নয়নের জন্য যতগুলো প্রকল্প দিয়েছে সবগুলো প্রকল্পই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তার নামে নেই কোন দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ। গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যবহারে মুগ্ধ নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ। নারায়ণগঞ্জের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের আস্থা রয়েছে তার উপর । তিনি কোন বিতর্কীত কর্মকান্ডে নিজে জড়ান নাই।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান কে প্রায় ৫০হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫ জন এমপির মধ্যে ৪জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীয় নির্বাচিত হয়। একমাত্র গোলাম দস্তগীর গাজী জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। তখন তিনি ১ লাখের অধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন স্বতন্ত্র হেভিওয়েট প্রার্থী ডা.শওকত আলীকে ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজী বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান পরাজিত করে হ্যাটিক করেছেন। তিনি ২ লাখের অধিক ভোটের ব্যবধানে মনিরুজ্জামানকে পরাজিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী নেতা গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীককে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে দেখতে চায়।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা বলেন,রূপগঞ্জ একটি হেভিওয়েট আসন। বিএনপির আমলে মতিন চৌধুরী দুই বার রূপগঞ্জ থেকে স্বরাষ্ট্র এবং বন্ত্র মন্ত্রী ছিলো। সেই আসনে গোলাম দস্তগীর গাজী কে মন্ত্রীত্ব না দিলে তার প্রতি অবিচার করা হবে। আমি রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করব গোলাম দস্তগীর গাজী সাহেব হ্যাট্রিক করেছেন এবার আপনি তাকে মন্ত্রী সভায় স্থান দেবেন। এটা রূপগঞ্জের সাড়ে ৩ লাখ ভোটারের প্রাণের দাবী।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, গোলাম দস্তগীর গাজীর দক্ষ নেতৃত্বে রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। আমরা রূপগঞ্জ বাসি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই দাবী জানাই তিনি যেনো গোলাম দস্তগীর গাজী কে মন্ত্রী সভায় স্থান দেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জি.শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, অন -ইলেভেনের সময় গোলাম দস্তগীর গাজী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য জেল খেটেছেন। শেখ হাসিনার নামে গোলাম দস্তগীর গাজী মিথ্যা দুর্নীতির মামলা দায়ের করেন নাই বলে ফখরুদ্দিন মঈন উদ্দীনের সরকার তাকে জেল খানায় অমানবিক নির্যাতন করছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ থাকবে গোলাম দস্তগীর গাজী কে যেন মন্ত্রী সভায় স্থান দেন।
সিদ্ধিরগঞ্জের ব্যবসায়ী মানিক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জের অবদান ভুলবার নয়। আমরা দীর্ঘ দিন মন্ত্রী পাই নাই আশা করি এবার আমরা মন্ত্রী পাব।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জ বাসি বার বার মন্ত্রীত্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মন্ত্রীসভায় স্থান পেতে একজন এমপির যা যোগ্যতা থাকা দরকার তার সবগুলোই গোলাম দস্তগীর গাজীর আছে। উনি মুক্তিযুদ্ধের মহাবীর। আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি তিনি যেনো গোলাম দস্তগীর গাজী কে মন্ত্রী সভায় স্থান দেন।